অন্যান্য

শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা

প্রশ্ন: শিক্ষার উদ্দেশ্যে কোনো কোনো ছাত্রের জন্য কিছু কিছু প্রাণীর ছবি অঙ্কন করার প্রয়োজন হয়, সুতরাং এর বিধান কী হবে?

উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।

এসব প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা বৈধ নয়; কেননা নবী (ﷺ) ছবি অঙ্কনকারীদেরকে অভিশাপ (লানত) দিয়েছেন; তিনি বলেছেন:

«إن أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة المصورون» ( أخرجه البخاري)

“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মানুষের মধ্য কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে ছবি অঙ্কনকারীগণ।” – (বুখারী, হাদিস নং- ৫৬০৬); আর এটা প্রমাণ করে যে, ছবি অঙ্কন করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত; কারণ, কবীরা গুনাহ ব্যতীত লা‘নতের (অভিশাপের) বিষয়টি আসে না এবং কবীরা গুনাহের প্রসঙ্গ ছাড়া কঠিন শাস্তির হুমকিও প্রদান করা হয় না; কিন্তু শরীরের হাত, পা ও অনুরূপ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি অঙ্কন বৈধ; কারণ, এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রাণ অবস্থান করে না; হাদিসের বক্তব্যসমূহের বাহ্যিক দিক হল, ঐ ছবি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অঙ্কন করা হারাম, যার মাঝে প্রাণ বা জীবনের অবস্থান সম্ভব; কেননা নবী (ﷺ) বলেন:

«من صور صورة في الدنيا كلف يوم القيامة أن ينفخ فيها الروح وليس بنافخ» ( أخرجه البخاري)

“যে ব্যক্তি ছবি তৈরি করে, তাকে কিয়ামতের দিন তাতে জীবন দানের জন্য নির্দেশ দেয়া হবে, কিন্তু সে সক্ষম হবে না।” – (বুখারী, হাদিস নং- ৫৬০৬)।

সূত্রঃ শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; মাজমু‘উ ফতোয়া ওয়া রাসায়েল (مجموع فتاوى و رسائل ): ২ / ২৭২

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button