নাসীহাহ

সালাত

সালাত

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-১৫৩)

আপনি যদি আতঙ্কগ্রস্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তবে এক্ষুণি সালাতে দাঁড়িয়ে যান। দেখবেন, আপনি শান্তি ও সান্ত্বনা পাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি একনিষ্ঠভাবে ও জাগ্রত হৃদয়ে সালাত আদায় করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সালাত আপনার উপর এই প্রভাব ফেলবে।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোন কষ্টে পতিত হয়েছিলেন, তখনই তিনি বলতেনঃ “হে বিলাল! সালাতের আজান দিয়ে আমাদেরকে শান্তি দাও।” সালাত তার আনন্দ ও খুশির উপায় ছিল। সালাত তার চোখের মণি ছিল।

আমি অনেক ধাৰ্মিক লোকের জীবনী পড়ে দেখেছি, তারা দুঃখ-কষ্টে পড়লেই সর্বদা সালাতে মনোযোগ দিতেন এবং যতক্ষণ তাদের মনোবল, ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় ফিরে না আসত, ততক্ষণ তারা সালাত পড়তে থাকতেন।

সালাতুল খাওফ (ভয়কালীন সালাত, যা যুদ্ধের সময় পড়া হতো) অনুমোদন করা হয় যখন অঙ্গচ্ছেদ হয়, মাথার খুলি উড়ে যায় এবং দেহ থেকে আত্মা চলে যায় তখন পড়ার জন্য। এ সময়ে একমাত্র একাগ্রচিত্তে সালাত আদায়ের মাধ্যমেই মনোবল ও দৃঢ় প্রত্যয় ফিরে পাওয়া যেত।

মানসিক রোগে আক্রান্ত এ জাতিকে অবশ্যই মসজিদে ফিরে গিয়ে সিজদা করতে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি কামনা করতে হবে। আমরা যদি এ কাজ না করি, তবে অশ্রু আমাদের চোখকে ভাসিয়ে রাখবে ও দুঃখ-বেদনা আমাদের স্নায়ুকে ধ্বংস করে দিবে।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত একনিষ্ঠভাবে আদায় করে আমরা মহাকল্যাণ অর্জন করতে পারি। আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি এবং আমাদের প্রতিপালকের দরবারে আমাদের মর্তবা (মর্যাদা) বৃদ্ধি করতে পারি। সালাত আমাদের অসুস্থতার জন্য এক শক্তিশালী মহা ঔষধও বটে। কেননা, সালাত আমাদের অন্তরে ঈমান সঞ্চারিত করে। যারা মসজিদ ও সালাত থেকে দূরে থাকে, তাদের জন্য রয়েছে অসুখ (দুঃখ), দুর্ভাগ্য ও বিষাদময় জীবন। “তাদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের আমলকে বাতিল করে দিবেন।” (৪৭-সূরা মুহাম্মদ বা কেতাল: আয়াত-৮)

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
Back to top button