তক্বদীর বা ভাগ্য
তক্বদীর বা ভাগ্য
পৃথিবীতে আর তোমাদের জীবনে যে বিপদ আসে তা আমি ঘটানোর পূর্বেই লিখে রেখেছি। (৫৭-সূরা আল হাদীদ: আয়াত-২২)
কলমের কালি শুকিয়ে গেছে, পাতাগুলো আরশে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে, যা কিছু ঘটবে তা সবই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু রেখেছেন তার অধিক কিছুই আমাদের নিকট পৌছবে না। যা কিছু আপনার নিকট এসেছে (অর্থাৎ আপনার তকদীরে আছে) তা আপনাকে ফসকিয়ে যাবে না, আর যা কিছু আপনাকে ফসকিয়ে গিয়েছে (আপনার তকদীরে নেই) তা আপনার নিকট আসবে না। যদি এ বিশ্বাস আপনার অন্তরে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়ে থাকে তবে সব কষ্ট ও জটিলতা সহজ ও আরাম হয়ে যাবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি নানান সংকট দ্বারা জর্জরিত করেন।
এ কারণেই যদি আপনি রোগাক্রান্ত, পুত্রের মৃত্যুতে শোকাহত বা সম্পদে ক্ষতিগ্রস্ত হন তবে নিজেকে সমস্যায় জর্জরিত ভাববেন না। এ সমস্ত ঘটনা ঘটার জন্য আল্লাহ হুকুম করেছেন এবং সিদ্ধান্ত তার একারই। যখন আমরা সত্যি সত্যিই এ বিশ্বাস করব তখন আমরা ভালোভাবে পুরস্কৃত হব ও আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে বা আমাদের গুনাহ মাফ হবে।
সে জন্যেই যারা দুর্দশাগ্রস্ত তাদের জন্য সুসংবাদ অপেক্ষা করছে; সুতরাং আপনার প্রভুর প্রতি ধৈর্যশীল ও সন্তুষ্ট থাকুন।
لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
তিনি যা করেন তা সম্বন্ধে তাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না, অথচ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (২১ -সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-২৩)
আল্লাহ যে সবকিছু পূর্বেই নির্ধারিত করে রেখেছেন একথা যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস না করেন তবে কখনও আপনি পরিপূর্ণ শান্তি পাবেন না। কলমের কালি শুকিয়ে গেছে তার সাথে আপনার যা কিছু ঘটবে তা সবই লিখা হয়ে গেছে। তাই যা আপনার হাতে নেই তার জন্য অনুতাপ ও অনুশোচনা করবেন না। একথা ভাববেন না যে আপনি বেড়াটিকে খসে পড়া থেকে, পানিকে প্রবাহিত হওয়া থেকে বা গ্লাসটিকে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারতেন। আপনি চাইলেও এগুলোকে রক্ষা করতে পারতেন না।
যা কিছু পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়েছে তা ঘটবেই।
فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ
সুতরাং যার ইচ্ছা ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছা কুফরি অবলম্বন করুক।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত-২৯)
আত্মসমর্পণ করুন (ইসলাম গ্রহণ করুন বা মুসলিম হন। -অনুবাদক) ক্রোধ ও অনুশোচনার যাতনা আপনাকে পেয়ে বসার আগেই তক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করুন বা তক্বদীরের প্রতি ঈমান আনুন। আপনার যতটুকু ক্ষমতা ছিল আপনি যদি তার সবটুকু করে থাকেন এবং আপনি যার বিরুদ্ধে (যা না ঘটার জন্য) আপ্রাণ চেষ্টা করতে ছিলেন যদি তাই ঘটে তবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন যে এটাই ঘটার ছিল। একথা বলবেন না যে, “যদি আমি অমুক অমুক কাজ করতাম তবে অমুক অমুক ঘটনা ঘটত।” বরং বলুন, “এটাই আল্লাহর হুকুম এবং তিনি যা চান তাই করেন।”
পৃথিবীতে আর তোমাদের জীবনে যে বিপদ আসে তা আমি ঘটানোর পূর্বেই লিখে রেখেছি। (৫৭-সূরা আল হাদীদ: আয়াত-২২)
কলমের কালি শুকিয়ে গেছে, পাতাগুলো আরশে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে, যা কিছু ঘটবে তা সবই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু রেখেছেন তার অধিক কিছুই আমাদের নিকট পৌছবে না। যা কিছু আপনার নিকট এসেছে (অর্থাৎ আপনার তকদীরে আছে) তা আপনাকে ফসকিয়ে যাবে না, আর যা কিছু আপনাকে ফসকিয়ে গিয়েছে (আপনার তকদীরে নেই) তা আপনার নিকট আসবে না। যদি এ বিশ্বাস আপনার অন্তরে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়ে থাকে তবে সব কষ্ট ও জটিলতা সহজ ও আরাম হয়ে যাবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি নানান সংকট দ্বারা জর্জরিত করেন।
এ কারণেই যদি আপনি রোগাক্রান্ত, পুত্রের মৃত্যুতে শোকাহত বা সম্পদে ক্ষতিগ্রস্ত হন তবে নিজেকে সমস্যায় জর্জরিত ভাববেন না। এ সমস্ত ঘটনা ঘটার জন্য আল্লাহ হুকুম করেছেন এবং সিদ্ধান্ত তার একারই। যখন আমরা সত্যি সত্যিই এ বিশ্বাস করব তখন আমরা ভালোভাবে পুরস্কৃত হব ও আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে বা আমাদের গুনাহ মাফ হবে।
সে জন্যেই যারা দুর্দশাগ্রস্ত তাদের জন্য সুসংবাদ অপেক্ষা করছে; সুতরাং আপনার প্রভুর প্রতি ধৈর্যশীল ও সন্তুষ্ট থাকুন।
لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
তিনি যা করেন তা সম্বন্ধে তাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না, অথচ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (২১ -সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-২৩)
আল্লাহ যে সবকিছু পূর্বেই নির্ধারিত করে রেখেছেন একথা যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস না করেন তবে কখনও আপনি পরিপূর্ণ শান্তি পাবেন না। কলমের কালি শুকিয়ে গেছে তার সাথে আপনার যা কিছু ঘটবে তা সবই লিখা হয়ে গেছে। তাই যা আপনার হাতে নেই তার জন্য অনুতাপ ও অনুশোচনা করবেন না। একথা ভাববেন না যে আপনি বেড়াটিকে খসে পড়া থেকে, পানিকে প্রবাহিত হওয়া থেকে বা গ্লাসটিকে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারতেন। আপনি চাইলেও এগুলোকে রক্ষা করতে পারতেন না।
যা কিছু পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়েছে তা ঘটবেই।
فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ
সুতরাং যার ইচ্ছা ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছা কুফরি অবলম্বন করুক।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত-২৯)
আত্মসমর্পণ করুন (ইসলাম গ্রহণ করুন বা মুসলিম হন। -অনুবাদক) ক্রোধ ও অনুশোচনার যাতনা আপনাকে পেয়ে বসার আগেই তক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করুন বা তক্বদীরের প্রতি ঈমান আনুন। আপনার যতটুকু ক্ষমতা ছিল আপনি যদি তার সবটুকু করে থাকেন এবং আপনি যার বিরুদ্ধে (যা না ঘটার জন্য) আপ্রাণ চেষ্টা করতে ছিলেন যদি তাই ঘটে তবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন যে এটাই ঘটার ছিল। একথা বলবেন না যে, “যদি আমি অমুক অমুক কাজ করতাম তবে অমুক অমুক ঘটনা ঘটত।” বরং বলুন, “এটাই আল্লাহর হুকুম এবং তিনি যা চান তাই করেন।”
তাকদীর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন মাসলা মাসায়েল, ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্নোত্তর।
তাকদীর বা ভাগ্য বলতে কী বুঝায়?
তাকদীর বা ভাগ্য: এ মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটবে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তাঁর পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী সেসব কিছু নির্ধারণ করে রাখাকে তাকদীর বলা হয়।
তাকদীরের / ভাগ্যের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়?
এক: এই ঈমান আনা যে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে সমষ্টিগতভাবে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানেন। তাঁর এ জানা অনাদি ও অনন্ত -তাঁর নিজ কর্ম সম্পর্কে অথবা বান্দার কর্ম সম্পর্কে।
দুই: এই ঈমান আনা যে, আল্লাহ তাআলা লওহে মাহফুজে সবকিছু লিখে রেখেছেন।
তিন: এই ঈমান রাখা যে, কোন কিছুই আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে ঘটে না। হোক না সেটা আল্লাহর কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট অথবামাখলুকের কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট।
তকদির বা ভাগ্য কি
এ মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটবে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তাঁর পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী সেসব কিছু নির্ধারণ করে রাখাকে তাকদীর বলা হয়।