প্রশ্ন : আমরা সীমিত অর্থের মালিকদের সুবিধার্থে তাদের জমিতে ভবন নির্মাণ করে দেই। প্রথমেই আমরা মোট খরচ হিসাব করি। এরপর ভবন তৈরীর সূচনায় জমির মালিকের নিকট থেকে ২০% অর্থ নিয়ে কাজ শুরু করি। তারপর তারা কিস্তিতে বাকী অর্থ পরিশোধ করবে। এক্ষণে এধরনের ব্যবসায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
নেওয়ার শামিল। এটি সূদ।
সেই সাথে এটি ধোঁকা। কেননা কোনরূপ
কাজ না করেই সার্ভিস চার্জ ও প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। এরপরেও কাজ কতদিনে শেষ হবে, তার কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা নেই। প্রতি।বর্গফুটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণাধীন অবস্থায়
সরঞ্জামাদির মূল্য বৃদ্ধি পেলে সেক্ষেত্রে কি হবে এবং কাজের মান আশানুরূপ।না হলে মালিকের সেখানে কিছু করার থাকবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই।।বিষয়গুলি অস্বচ্ছ। যা বায়‘এ গারার-এর অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণ স্বরূপ,।একটি বিল্ডিং-এর প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ৫ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী
মালিককে ২০% অর্থাৎ ১ কোটি টাকা নগদ দিতে হবে। সেই সাথে কোম্পানীর ভবিষ্যৎ
বিনিয়োগ ৮০%-এর উপর ৩% সার্ভিস চার্জ ১২ লাখ টাকা। সেই সাথে ১ম মাসিক।কিস্তি ৩ লাখ ৩৩ হাযার ৩৩৩ টাকা। সর্বমোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৩ হাযার ৩৩৩ টাকা।মালিকের পক্ষ থেকে কোম্পানীকে শুরুতেই নগদ দিতে হবে। অথচ কোম্পানীর তখন কোন।বিনিয়োগ নেই।
এটি আদৌ কোন ব্যবসা নয়, বরং ধোঁকা। কারণ এতে কোম্পানীর কোন ব্যবসায়িক ঝুঁকি নেই। কেবলই লাভ। যা সূদের শামিল।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।