লেনদেন ও ব্যবসা

প্রশ্ন : মৌসুমে ইট আগাম কিনে রেখে অন্য সময়ে তা বেশী দামে বিক্রয় করা এবং খাদ্যদ্রব্য যেমন ধান-চাল, আলু- পিঁয়াজ ইত্যাদি স্টক রেখে পরে তা বিক্রয় করা যাবে কি? এছাড়া মাছ চাষের সময় টাকা বিনিয়োগ করে পরে মাছ বিক্রয়ের সময় মনপ্রতি কিছু টাকা লাভ নেওয়া জায়েয হবে কি?

উত্তর : ইট খাদ্যদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং এতে ইহতিকার হয় না। বাজারে
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত
করাই হ’ল ‘ইহতেকার’, যা হারাম। মা‘মার (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি বেশী দামের আশায় সম্পদ জমা রাখে সে গুনাহগার (মুসলিম হা/১৬০৫, আবুদাঊদ হা/৩৪৪৭)

তবে সাধারণভাবে উৎপাদনের মৌসুমে হ্রাসপ্রাপ্ত মূল্যে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে
অন্য মৌসুমে প্রচলিত বাজার মূল্যে বিক্রয় করায় কোন দোষ নেই। কেননা
খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হ’লে তা জায়েয (আউনুল মা‘বূদ ৫/২২৬-২২৮ পৃ, ‘ইহতেকার নিষিদ্ধ’ অনুচ্ছেদ; নায়ল, ৫/২২২ পৃঃ, ‘ইহতেকার’ অনুচ্ছেদ)

আর মাছ চাষের ক্ষেত্রে যদি ‘মুযারাবা’ পদ্ধতিতে একজনের অর্থে অপরজন ব্যবসা
করে এবং লভ্যাংশ চুক্তি অনুপাতে উভয়ের মধ্যে বণ্টিত হয়, তবে তা জায়েয (আবুদাঊদ হা/৪৮৩৬; সনদ ছহীহ, নায়ল হা/২৩৩৪-৩৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button