প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত

প্রশ্ন : আমি এইচএসসি ১ম বর্ষে পড়ি। বর্তমানে কলেজ বন্ধ থাকায় বাসায় পরীক্ষা হয়। ক্লাস না করায় অনেক সাবজেক্ট সম্পর্কে আমার ধারণা নেই এবং অলসতাবশতঃ আমি পড়ালেখা করি না। এখন বই দেখে পরীক্ষা দেয়া জায়েয হবে কি?

উত্তর : পরীক্ষা অফলাইন হোক কিংবা অনলাইন উভয় অবস্থাতেই নকল করা হারাম। এছাড়া এটা প্রতারণার শামিল। আর ইসলামে যে কোন বিষয়ে প্রতারণা ও ধোঁকা দেয়া হারাম।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي‏ ‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০২; মিশকাত, হা/২৮৬০)।

যারা পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে এবং যারা প্রশ্রয় দেয় তারা আইনের চোখে অপরাধী এবং ধর্মের দৃষ্টিতে মহাপাপী।

শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পরীক্ষায় নকল করা বা ধোঁকা দেয়া ঐরূপ হারাম, যেরূপ ব্যবসা-বাণিজ্যে ধোঁকা দেয়া হারাম। সুতরাং পরীক্ষায় কারোর জন্য কোন বিষয়ে নকল করা বা টুকলি করা বৈধ নয়। এমনকি কোন শিক্ষকও যদি একাজে সহযোগিতা করেন, তাহলে তিনিও গুনাহগার হবেন এবং খিয়ানতে অংশীদার হিসাবে গণ্য হবেন’ (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৯৭)।

শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) পরীক্ষায় নকল করাকে হারাম এবং কাবীরা গুনাহ বলে উল্লেখ করেছেন (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ক্যাসেট নং-১৮)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button