প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত

প্রশ্ন : এলাকার এক বড় আলেম/কবিরাজের কাছ থেকে তাবীয নেওয়াতে দীর্ঘ ৪ বছর পর একটি পুত্র সন্তান হয়েছে। ফলে তারা বলে এটা যদি শিরক হ’ত তাহ’লে আল্লাহ তাদের সন্তান দিতেন না। এই ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে তারা যেকোন কাজে সেই কবিরাজের শরণাপন্ন হয়। এখন তাদেরকে কিভাবে বুঝাতে পারি?

উত্তর : কোন আলেম বা কবিরাজ সন্তান দেওয়ার মালিক নয়। বরং আল্লাহ যখন ও যাকে খুশি তখন
সন্তান দান করেন। আল্লাহ বলেন, …তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে চান কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দান করেন।…যাকে চান বন্ধ্যা করেন’ (শূরা ৪২/৪৯-৫০)। যখন তারা চিকিৎসা করেছিল তখনও হয়ত সন্তান আসার সময় হয়নি। সেজন্য উক্ত সন্তান পৃথিবীতে আগমন করেনি। কথায় বলে, কাকও বলল, তালও পড়ল; কাকের কেরামতি বাড়ল। অতএব এসব শিরকী বিশ্বাস থেকে তওবা করা অপরিহার্য। নইলে এখুনি নিঃশ্বাস বন্ধ হলে জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী।

এছাড়া আল্লাহ কখনও এর দ্বারা বান্দার ঈমানের পরীক্ষাও গ্রহণ করেন যে, বান্দা একমাত্র আল্লাহর প্রতিই তাওয়াক্কুল করে নাকি অন্য কারও প্রতি। হযরত ইব্রাহীমের স্ত্রী সারা বন্ধ্যা ছিলেন, স্বামী ৮৬ বছরের বৃদ্ধ। অথচ তারা সন্তান লাভ করেন আল্লাহর হুকুমে। যিনি হলেন, নবী ইসহাক (আঃ)। সুতরাং বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে তার শিরকী আক্বীদা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেননা আল্লাহ শিরকের
গুনাহ মাফ করেন না’ (নিসা ৪/৪৮)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ হা/১৭৪৪০; ছহীহাহ হা/৪৯২ ও ৩৩১)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোন কিছু লটকালো সে তার দিকেই ধাবিত হ’ল’ (তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৫৬)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button