প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত

প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) থেকে নির্দেশনা না থাকলেও অনেক সময় কোন ছাহাবী কোন আমল করেছেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তার ফযীলত বর্ণনা করেছেন বা অনুমোদন দিয়েছেন। যেমন প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করা, রববানা লাকাল হামদ-এর পর হামদান কাছীরান… ইত্যাদি। একইভাবে নেকীর আশায় ফরয ছালাতের পর হাত তুলে মুনাজাত করায় বাধা কোথায়?

উত্তর : বাধা হ’ল এই যে, কাজটি রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় করা হয়নি বা তিনি সমর্থনও করেননি। এ ব্যাপারে রাসূলের নির্দেশনা বা অনুমোদন না থাকাটাই তা বিদ‘আত হওয়ার বড় প্রমাণ।

মালেক বিন আনাস (রহঃ) দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, ‘রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের সময়ে যেসব বিষয় ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত ছিল না, বর্তমানকালেও তা ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত হবে না (শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম ১/৫৩৫)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যারা আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু প্রবর্তন করবে, তা প্রত্যাখ্যাত’।(বুখারী হা/২৬৯৭; মিশকাত হা/১৪০)। অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে যা ছিল না তা বর্তমান যুগেও আমলযোগ্য নয়, যদিও তা বাহ্যিকভাবে নেক আমল মনে হয়।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button