দু'আ, যিকির ও ঝাড়ফুঁক

প্রশ্ন: বিতর ছালাতে কুনূত পড়তে ভুলে গেলে এবং সিজাদায় গিয়ে মনে পড়লে করণীয় কী? দু‘আ কুনূত ছাড়াই বিতর ছালাত পড়ার পদ্ধতি কী?

উত্তর : বিতর ছালাতে কুনূত পড়তে ভুলে গেলে কোন সমস্যা নেই। কেননা বিতরের জন্য কুনূত শর্ত নয়, বরং মুস্তাহাব (মির‘আতুল মাফাতীহ, হা/১২৮১; ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৮৩)। বিতরের কুনূত দুই নিয়মে পড়া যায়। এক রাক‘আত পড়ার সময় ক্বিরাআত শেষ করে হাত বাঁধা অবস্থায় দু‘আয়ে কুনূত পড়া (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭১, ১৮১)। অথবা ক্বিরাআত শেষে হাত তুলে দু‘আয়ে কুনূত পড়া। রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়তেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন রাক‘আত বিতর ছালাত আদায় করতেন। প্রথম রাক‘আতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা কাফিরূন এবং তৃতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন। তিনি রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন। যখন তিনি ছালাত থেকে অবসর হতেন, তখন ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’ বলতেন (নাসাঈ, হা/১৬৯৯, সনদ ছহীহ)। আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী আগে কুনূত পড়াকেই উত্তম বলেছেন। তবে অনেক বিদ্বান রুকূর পরে পড়ার কথাও বলেছেন (তুহফাযুল আহওয়াযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৯৯; হা/৪২৬-এর আলোচনা দ্র.; মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৮৭, হা/১২৮০-এর আলোচনা দ্র.)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button