প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলা

প্রশ্ন: ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ভলিবল খেলা যাবে কি?

উত্তর : শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে কিছু শর্ত সাপেক্ষে উক্ত খেলাগুলো খেলা জায়েয। শর্তগুলো হল- (১) ইসলামের ফরয ইবাদত পালন থেকে উদাসীন না হওয়া। যেমন কোন ফরয ছালাত ও ছালাতের জামা‘আতের সময় খেলাধুলা করা (সূরা লুক্বমান : ৬; ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, প্রশ্ন নং-৮৪২৯১)। (২) শরী‘আতের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের প্রতি খেয়াল রাখা (সূরা আয-যারিয়াত : ৫৬)। সুতরাং খেলাটি হতে হবে ইসলামের জন্য জিহাদের প্রস্তুতি, শারীরিক সক্ষমতা অর্জন ও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি বা বৈধ বিনোদনের উদ্দেশ্যে। (৩) সর্বদা সতর আবৃত রাখা (আবূ দাঊদ, হা/৪০১৭; তিরমিযী, হা/২৭৯৪; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৭০৬; ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, প্রশ্ন নং-৮৪২৯১)। (৪) জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়া (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৯৫)। (৫) জুয়া বা হারাম মিশ্রিত না হওয়া (সূরা আল-মায়িদাহ : ৯০)। (৬) প্রতিযোগিতার জয়-পরাজয়ে শত্রুতা-মিত্রতা সৃষ্টি না হওয়া (সূরা আল-মায়িদাহ : ৯১; ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, প্রশ্ন নং-৮৪২৯১)। যদি উক্ত বিষয়গুলোর কোন একটি পাওয়া যায়, তখন সে খেলা হারাম হবে।

উল্লেখ্য, ফুটবল, ক্রিকেট সহ প্রচলিত খেলাধুলায় ইসলামী শরী‘আতের উপরিউক্ত শর্তাবলী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। বরং জীবনের ঝুঁকি, ছালাতের প্রতি অবহেলা, সময় ও অর্থের অপচয়, জুয়া-বাজিধরা, রঙখেলা, গ্যালারিতে উদ্দাম নৃত্য-গান, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, উল্কী আঁকা ইত্যাদিতে ভরপুর থাকে, যা শরী‘আতে সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম। অতএব সাবধান!

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
Back to top button