প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলা

প্রশ্ন: আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একবার দাবা খেলায় রত কিছু মানুষের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, এই মুর্তিগুলো কী, যাদের সামনে তোমরা বসে আছ? এগুলো স্পর্শ করার চেয়ে জলন্ত অঙ্গার নির্বাপিত হওয়া পর্যন্ত তাতে হাতে রেখে দেয়া ভাল (সুনানে কুবরা, বায়হাক্বী, ১০/২১২)। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে দাবা খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, সেটা ‘নারদ’ (নামক খেলা) থেকে নিকৃষ্ট (সুনানে কুবরা, বায়হাক্বী, ১০/২১২)। ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)-এর ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘দাবা খেলা, পাশা খেলা এবং এ জাতীয় খেলাগুলোতে কোন কল্যাণ নেই’। উপরিউক্ত দলীলের আলোকে লুডু, তাস, ক্যারাম ইত্যাদি খেলাকেও হারাম বলা হয়। প্রশ্ন হল, ছাহাবী বা তাবেঈ কি কোন জিনিস হারাম করতে পারেন?

উত্তর : দাবা খেলা, পাশা খেলাসহ এ জাতীয় খেলার ব্যাপারে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিষেধাজ্ঞা ও হুঁশিয়ারি বর্ণিত হয়েছে। বুরাইদাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাশা খেলল, সে যেন তার হাত শুকরের গোশত ও রক্তে রঙ্গিন করে তুলল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬০)। আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাশা খেলল সে যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল’ (সুনানে আবূ দাউদ, হা/৪৯৩৮)। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্ত বক্তব্যের কারণেই ছাহাবায়ে কেরাম হুকুম জারি করেছেন মাত্র। তাছাড়া কোন ছাহাবীর বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা সমর্থিত হলে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য ও পালনীয়। পক্ষান্তরে কোন ছাহাবীর বক্তব্য ছহীহ হাদীছের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
Back to top button