বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : ইসলামী শরী‘আতে বিবাহের পদ্ধতি কেমন?

উত্তর : প্রথমে বিবাহের খুৎবা পড়ার পর নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিয়ে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলতেন। খুৎবাতে তিনি সূরা আলে ‘ইমরান ১০২, সূরা আন-নিসা ০১ এবং সূরা আহযাব ৭০-৭১ আয়াত পাঠ করতেন (তিরমিযী, হা/১১০৫; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৯২; দারেমী, হা/২২০২; মিশকাত হা/৩১৪৯, সনদ ছহীহ, ‘বিবাহ’ অধ্যায়, ‘বিয়ের খুৎবা, প্রচার ও শর্ত’ অনুচ্ছেদ)।

কাজেই খুৎবা পড়ার পর মেয়ের পিতা বা অভিভাবক বা তাদের উপস্থিতিতে অন্য কেউ বরের সামনে দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বলবেন, আমার মেয়ে ওমুক এত নগদ মোহরের বিনিময়ে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে রাযী তুমি তাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর। তখন সে মেয়ের ওয়ালী ও দু’জন সাক্ষীকে শুনিয়ে বলবে, আমি গ্রহণ করলাম। এরূপ তিনবার বলা উত্তম। কারণ রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গুরুত্বপূর্ণ কথা তিনবার বলতেন (ছহীহ বুখারী হা/৯৫; মিশকাত হা/২০৮, ‘ইল্ম’ অধ্যায়)।

উল্লেখ্য যে, উকীল ও কাযী কনের কাছে গিয়ে বিবাহ পড়াবে মর্মে প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই।

 

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button