বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : উপার্জনক্ষম হওয়ার পূর্বে ছেলেদের বিবাহ করা জায়েয হবে কি?

উত্তর : অবশ্যই হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তোমরা তাদের
বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদেরও। যদি তারা নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ’। ‘আর যাদের বিবাহের সঙ্গতি নেই, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে, যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন’ (নূর ২৪/৩২-৩৩)

অত্র আয়াতদ্বয়ে বিবাহহীন মুসলিম নারী-পুরুষকে দ্রুত বিবাহ দানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভাবের অজুহাতে কেউ যেন বিবাহ থেকে বিরত না হয়, সেজন্য তাদেরকে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। যাতে আল্লাহ তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। অবশ্য ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে উপার্জনক্ষম হওয়ার আগে বিবাহ না করাই উত্তম।

কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা এটি চক্ষু অবনতকারী ও লজ্জাস্থানের হেফাযতকারী। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন ছিয়াম রাখে। কেননা ছিয়াম তার প্রবৃত্তিকে দলনকারী’ (বুখারী হা/১৯০৫; মুসলিম হা/১৪০০; মিশকাত হা/৩০৮০)

এখানে ‘সামর্থ্য’ বলতে ভরণ-পোষণের সামর্থ্য এবং যৌন সামর্থ্য দু’টিকেই বুঝায়। দ্বিতীয়টি না থাকলে বা ত্রুটিপূর্ণ থাকলে, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত
তাকে অবশ্যই বিবাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে, উপার্জনক্ষম হওয়ার অর্থ এই নয় যে, কোন সরকারী বা বেসরকারী চাকুরী পেতেই হবে। বরং অল্প হ’লেও সৎভাবে জীবন যাপনে সক্ষম ব্যক্তির জন্য বিবাহ করা অবশ্য কর্তব্য।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button