বিবাহ ও দাম্পত্য
প্রশ্ন : স্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ যেনার অপবাদ দিলে সেটা কি লে‘আন হিসাবে গণ্য হবে এবং স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
উত্তর : স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেনার অপবাদ দিলেই তা লে‘আন হিসাবে গণ্য হবে না এবং এতে বিবাহ
বিচ্ছেদও হবে না। বরং এরূপ ক্ষেত্রে করণীয় হ’ল স্বামী প্রথমতঃ স্ত্রীর যেনার পক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করবে। তা সম্ভব না হ’লে আদালতে বিচারকের উপস্থিতিতে লে‘আন করবে। আর লে‘আন হ’ল- কোন স্বামী যদি স্ত্রীর উপর যেনার
অভিযোগ দেয় এবং তার কাছে সাক্ষী না থাকে, তখন আদালতে দাঁড়িয়ে সে চারবার সাক্ষ্য দিবে যে, স্ত্রী সম্পর্কে সে যা বলেছে তা সত্য। আর পঞ্চমবারে বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেন তার উপর লা‘নত বর্ষিত হয়। অতঃপর স্ত্রীও আদালতে দাঁড়িয়ে চার বার বলবে যে, স্বামী তার অভিযোগে মিথ্যাবাদী। আর পঞ্চমবারে বলবে, যদি স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার (নিজের)
উপর যেন আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়। অতঃপর আদালত তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাবে (নূর ২৪/৬-৯; ইবনু তায়মিয়া, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৫০৭)।
বিচ্ছেদও হবে না। বরং এরূপ ক্ষেত্রে করণীয় হ’ল স্বামী প্রথমতঃ স্ত্রীর যেনার পক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করবে। তা সম্ভব না হ’লে আদালতে বিচারকের উপস্থিতিতে লে‘আন করবে। আর লে‘আন হ’ল- কোন স্বামী যদি স্ত্রীর উপর যেনার
অভিযোগ দেয় এবং তার কাছে সাক্ষী না থাকে, তখন আদালতে দাঁড়িয়ে সে চারবার সাক্ষ্য দিবে যে, স্ত্রী সম্পর্কে সে যা বলেছে তা সত্য। আর পঞ্চমবারে বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেন তার উপর লা‘নত বর্ষিত হয়। অতঃপর স্ত্রীও আদালতে দাঁড়িয়ে চার বার বলবে যে, স্বামী তার অভিযোগে মিথ্যাবাদী। আর পঞ্চমবারে বলবে, যদি স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার (নিজের)
উপর যেন আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়। অতঃপর আদালত তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাবে (নূর ২৪/৬-৯; ইবনু তায়মিয়া, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৫০৭)।
আর স্বামী বা স্ত্রী যেনার অভিযোগ প্রদানের পর যদি সাক্ষী হাযির করতে না পারে এবং লে‘আন করতেও অক্ষমতা প্রকাশ করে, তবে বিচারক অভিযোগকারী
স্বামী/স্ত্রীর উপর হদ জারী করবে। অর্থাৎ মিথ্যা অপবাদের শাস্তি হিসাবে তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে (নূর ২৪/৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৪/২৮৪)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।