বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : আমার বিবাহে পিতা-মাতা রাযী থাকলেও সাক্ষী ছিলেন আপন দুই মামা। আর পিতৃহীন কনের মা ও ভাইয়েরা প্রথমে রাযী হয়ে বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক করলেও পরবর্তীতে আমার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পিছিয়ে যায়। অতঃপর তাদের অমতেই আমাদের বিবাহ হয় এবং সেসময় কেবল মেয়ের আপন মামা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের দেড় বছর পার হ’লেও মেয়ে পক্ষ এই দাবীতে অনড় যে, আমার ভালো চাকুরী না হ’লে তারা মেনে নেবে না। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি সঠিক হয়েছে?

উত্তর : কনে পক্ষের অভিভাবক প্রথমে রাযী থাকলেও পরে স্রেফ ‘আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে’ রাযী না হওয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়।

তাছাড়া ছেলে ও মেয়ে উভয়ে সন্তুষ্টচিত্তে সংসার করছে বিধায় বিবাহ বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার দ্বীনদারী এবং সচ্চরিত্রতার ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট, ঐ ছেলের সাথে তোমাদের মেয়েকে বিয়ে দাও। যদি না দাও, তাহ’লে পৃথিবীতে ফিৎনা ও বড় ধরনের ফাসাদ সৃষ্টি হবে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০; ছহীহাহ হা/১০২২)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যদি তুমি দ্বীনকে অগ্রাধিকার না দাও, তাহ’লে তুমি কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩০৮২)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button