বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্নঃ তালাক স্বামীর হাতে দেওয়া হল কেন? স্ত্রী তালাক নিতে পারে দিতে পারেনা কেন?

উত্তরঃ যেহেতু পুরুষ মহিলার তুলনায় জ্ঞানে পাকা, ক্রোধের সময় বেশী ধৈর্যশীল। নচেৎ স্ত্রীর হাতেও তালাক থাকলে সামান্য ঝামেলাতেই সে ‘তোমাকে তালাক’ বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকত।

যেমন অনেক মহিলা সামান্য কিছু হলেই রেগে বলে বসে, ‘আমাকে তালাক দাও’, ‘আমি তোমার ভাত খাব না’ ইত্যাদি।

স্বামীর নিকট থেকে কখন তালাক নেওয়া বৈধ এবং কখন ওয়াজেব?

যখন স্বামী এমন কাজ করবে, যা কবীরা গোনাহ এবং তা কুফরী নয়, বুঝানোর পরও মানতে চাইবে না, তখন তালাক নেওয়া বৈধ। যেমন ব্যভিচার, মদ্যপান ইত্যাদি।
কিন্তু সে কাজ করার ফলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, তার সাথে সংসার করা বৈধ নয়। তউবা না করলে সে ক্ষত্রে তালাক নেওয়া ওয়াজেব।
যেমন মাযার যাওয়া, শিরক করা, দ্বীন, আল্লাহ বা তার রাসুলকে গালি দেওয়া, নামায ত্যাগ করা ইত্যাদি।

৫৮৯ (ইবনে উষাইমীন)

তালাক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন মাসলা মাসায়েল, ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্নোত্তর।

এক বৈঠকে তিন তালাক

এক সাথে প্রদত্ত তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে।
ইবনু আব্বাস রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু রুকানা রা: যখন তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন তখন রাসূল (ছা:) বললেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নাও’। তিনি বললেন, ‘আমি তাকে তিন তালাক দিয়েছি। রাসূল (ছা:) বললেন, ‘আমি তা জানি, তুমি তাকে ফিরিয়ে নাও’ (আবুুদাউদ হা/২১৯৬)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে,

আবু রুকানা (রা:) যখন তাঁর স্ত্রীকে এক সাথে তিন তালাক দেন, তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন রাসূল (ছা:) তাঁর স্ত্রীকে তাঁর কাছে ফেরৎ দেন এবং বলেন, এটি এক তালাক হিসাবে গণ্য।
(আহমাদ হা/২৩৮৭; ফাতাওয়া
ইবনে তায়মিয়াহ ২২/২৭৪ পৃঃ)।

মোবাইলে তালাক

স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক উচ্চারণ করার দ্বারাই স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যায়।এজন্য তালাক শব্দটি স্ত্রীর নিজে শোনা যেমন জরুরী নয়, তেমনি সংবাদ স্ত্রীর কাছে পৌছানোও জরুরী নয়। এমনিতেই তালাক পতিত হয়ে যায়। বাকি স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়া জরুরী যেন স্ত্রী ইদ্দত পালন করে স্বাধীন হয়ে যেতে পারে।

স্ত্রী কর্তৃক তালাক আইন

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) বলেন, “তালাক দেওয়ার ব্যপারে শরীয়তের মূলনীতি হচ্ছেঃ তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ।
তালাক দেওয়া শুধুমাত্র তখনই জায়েজ হবে, যখন তালাক দেওয়ার ‘উপযুক্ত কারণ’ থাকা সাপেক্ষে তালাক দেওয়ার ‘প্রয়োজনীয়তা’ থাকে।”
(মাজমু আল-ফাতওয়াঃ ৩৩/৮১)

তালাক দেওয়ার কারন কি?

(১) স্ত্রী যদি চরিত্রহীনা, ব্যভিচারী হয়, কিংবা ফাহেশা কাজে লিপ্ত থাকে।
(২) স্ত্রী যদি বেনামাযী, দ্বীনদার না হয়, অথবা তার কারণে স্বামীর দ্বীন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
(৩) স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী বা সন্তানদের জীবনের কোন ক্ষতির কোনো আশংকা থাকে।
(৪) স্ত্রী অবাধ্য, অহংকারী, কটুভাষী হয়, এবং স্বামীর হক্ক আদায় করতে অস্বীকার করে।

তালাক কি?

তালাক শব্দের অর্থ ‘বিচ্ছিন্ন’, ত্যাগ করা ইত্যাদি। ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদকে তালাক বলা হয়।

মেয়েরা কি তালাক দিতে পারে?

না। যেহেতু পুরুষ মহিলার তুলনায় জ্ঞানে পাকা, ক্রোধের সময় বেশী ধৈর্যশীল। নচেৎ স্ত্রীর হাতেও তালাক থাকলে সামান্য ঝামেলাতেই সে ‘তোমাকে তালাক’ বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকত।

তালাক নেওয়া কখন বৈধ?

যখন স্বামী এমন কাজ করবে, যা কবীরা গোনাহ এবং তা কুফরী নয়, বুঝানোর পরও মানতে চাইবে না, তখন তালাক নেওয়া বৈধ। যেমন ব্যভিচার, মদ্যপান ইত্যাদি।
কিন্তু সে কাজ করার ফলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, তার সাথে সংসার করা বৈধ নয়। তউবা না করলে সে ক্ষত্রে তালাক নেওয়া ওয়াজেব।
যেমন মাযার যাওয়া, শিরক করা, দ্বীন, আল্লাহ বা তার রাসুলকে গালি দেওয়া, নামায ত্যাগ করা ইত্যাদি।
৫৮৯ (ইবনে উষাইমীন)

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button