আক্বীদাহ

প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, বদ নযর অথবা হিংসা অথবা বিপদাপদ ও অনিষ্টতা প্রতিরোধ বা দূর করার জন্য গলায় মালা লাগানো বা হাতে অথবা গলায় অথবা গাড়ি ইত্যাদিতে তাগা লটকানোর হুকুম কী?

 

উত্তর: বল, এটা শির্কের অন্তর্ভুক্ত। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে তাবিজ লটকালো সে শির্ক করলো”। হাদীসটি ইমাম আহমদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন: “উটের গলায় ধনুকের রশি (মালা) অথবা কোনো মালাই যেন থাকে। থাকলে যেনে কেটে ফেলা হয়”। হাদীসটি সহীহ বুখারী বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, “যে তার দাড়ি বাঁধলো অথবা ধনুকের রশি লটকালো অথবা পশুর মল অথবা হাড্ডি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করল তার থেকে মুহাম্মাদ সম্পর্কহীন”। হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, “নিশ্চয় ঝাঁড়-ফুক, তাবিজ ও ভালোবাসার মন্ত্র শির্ক”। হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, “যে তাবিজ লটকালো আল্লাহ তার আশা পূর্ণ না করুন”। হাদীসটি ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন। অতএব যে ধারণা ও কুসংস্কারের সাথে সম্পৃক্ত হল সে ক্ষতিগ্রস্ত হল। হাদীসে এসেছে: “যে ব্যক্তি কিছু লটকায় তাকে তারই প্রতিই সোপর্দ করা হয়”।

তিওয়ালা: এক প্রকার যাদু, যা সেসময় তারা করতো এবং বিশ্বাস করত, এটি স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি প্রিয় করে অথবা উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটায়। অনুরূপভাবে তারা এটি দু’জন আত্মীয় অথবা প্রিয় মানুষের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টির জন্যও করত।

তামায়েম এমন জিনিস, যা বদ নযর ও হিংসা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে বাচ্চাদের শরীরে লটকানো হয়।

ইমাম মুনজিরি ‘তামিমা’র অর্থ প্রসঙ্গে বলেন, “এটি হলো পুঁতি বা দানা জাতিয় জিনিষ, যা তারা লটকাত। তারা বিশ্বাস করত যে, এটি তাদের থেকে আপদ দূর করে। এটি হচ্ছে মূর্খতা ও গোমরাহী। কারণ এটি শরীয়ত কিংবা প্রাকৃতিক দিক থেকে আরোগ্য হাসিলের কোনো উপকরণ নয়। উপরোক্ত উদ্দেশ্যে মানুষের হাতে চুরি বা চেইন পরিধান করা, গাড়িতে বা পশুর গলায় কিংবা ঘর-বাড়িতে কাপড়ের টুকরা ঝুলানো ও তাবিজ লটকানোর অন্তর্ভুক্ত।

 

সূত্র: ইসলামহাউজ.কম।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button