আক্বীদাহ

প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, শির্কের প্রকারগুলো কী কী?

 

উত্তর: বল, শির্ক দুই প্রকার:

১) বড় শিরক: এটি হচ্ছে ইবাদাতের প্রকারসমূহ হতে কোন একটি ইবাদত গাইরুল্লাহর জন্য সমর্পণ করা। যেমন গাইরুল্লাহর ওপর ভরসা করা অথবা মৃতদের কাছে মদদ চাওয়া অথবা গাইরুল্লাহর জন্য যবেহ করা অথবা গায়রুল্লাহর জন্য মানত করা, সিজদাহ করা অথবা গায়রুল্লাহর নিকট এমন বিষয়ে ফরিয়াদ করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ ক্ষমতা রাখে না। যেমন অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে অথবা মৃতদের কাছে ফরিয়াদ করা। এ জাতীয় বোকামি তারাই করতে পারে, যারা বিশ্বাস করে যে, উপরোক্ত ব্যক্তিরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না এমন কাজ করতে পারে। ফলে সে এ দ্বারা ঐ মাখলুকের মধ্যে রুবুবিয়াতের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে বলে বিশ্বাসী হয়ে যায়। এ কারণে সে তার সামনে বিনয়ী হয়, তার জন্য দাসত্বের ন্যায় হীনতা প্রকাশ করে, তার ওপর ভরসা করে, তার নিকট কাকুতি-মিনতি করে, তার নিকট ফরিয়াদ করে এবং তার কাছে এমন কিছু চেয়ে তাকে আহ্বান করে, যা কোনো মাখলুকের পক্ষে দান করা সম্ভব নয়। আজব ব্যাপার হলো, মানুষ এমন অক্ষমের নিকট ফরিয়াদ করে, যে নিজের ক্ষতি কিংবা উপকার করার সামর্থ্য রাখে না এবং জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মালিক নয়। অতএব যে নিজের ক্ষতি দূর করতে অক্ষম সে কিভাবে অপরের ক্ষতি দূর করবে? এটা তো এক ডুবন্ত ব্যক্তি অপর ডুবন্ত ব্যক্তির নিকট ফরিয়াদ করার মতোই। সুবহানাল্লাহ! কিভাবে কতক মানুষের দৃষ্টিভ্রম ঘটে ও তাদের বিবেক চলে যায়। ফলে শরী‘আত বিধ্বংসী, বিবেক বিরোধী ও বাস্তবতার পরিপন্থী এ জাতীয় শির্কে লিপ্ত হয়!

২) ছোট শির্ক: যেমন সামান্য রিয়া। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের ওপর আমি সবচেয়ে বেশী ভয় করি ছোট শির্কের। তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তা হলো রিয়া”। (এটি বর্ণনা করেছেন সহীহ মুসলিম) ছোট শির্কের আরো উদাহরণ হলো গায়রুল্লাহর নামে কসম করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে গায়রুল্লাহর নামে কসম করল সে কুফরি করল অথবা র্শিক করল”। (তিরমিযী)

 

সূত্র: ইসলামহাউজ.কম।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button