মৃত্যু

প্রশ্ন : মৃত্যুর কারণে কান্নাকাটি করার শারঈ বিধান কী?

উত্তর : কোন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদে কোনপ্রকার চিৎকার, চেঁচামেচি অথবা আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ না করে দুঃখে ভারাক্রান্ত হওয়া, কান্নাকাটি করা বৈধ, যদি কান্না প্রকৃতিগত হয়ে থাকে।

নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে তাঁর ছেলে ইবরাহীমের মৃত্যুতে কেঁদেছেন। তিনি বলেছেন,

إِنَّ الْعَيْنَ تَدْمَعُ وَالْقَلْبَ يَحْزَنُ وَلَا نَقُوْلُ إِلَّا مَا يَرْضَى رَبُّنَا وَإِنَّا بِفِرَاقِكَ يَا إِبْرَاهِيْمُ لَمَحْزُوْنُوْنَ

‘চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে, মন ভারাক্রান্ত। তবে আমরা শুধু সেটাই উচ্চারণ করব যা আমাদের প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহীম! তোমার মৃত্যুতে আমরা দুঃখে ভারাক্রান্ত’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৩০৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩১৫; মিশকাত, হা/১৭২২)।

তবে উচ্চৈঃস্বরে কান্নাকাটি করা যাবে না। কেননা এটা জাহেলী প্রথা এবং তাওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে ক্বিয়ামতের দিন তাকে দুর্গন্ধযুক্ত পায়জামা ও শরীরে পাঁচড়া সৃষ্টিকারী পোশাক পরিধান করানো হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৩৪; মিশকাত, হা/১৭২৭)।

উল্লেখ্য, মৃত ব্যক্তির জন্য তিনদিনের বেশি শোক পালন করা নাজায়েয। তবে স্বামীর মৃত্যুতে ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করা যায় (ছহীহ বুখারী, হা/১২৮০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮৬)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button