আখিরাত বিষয়ক

প্রশ্ন : ওহোদ যুদ্ধের শহীদদের জানাযা কি আট বছর পর পড়া হয়েছিল? শহীদদের জানাযা পড়ানো কি নাজায়েয?

উত্তর : আট বছর পর ওহোদ শহীদদের নিকট গিয়ে রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করেছিলেন। যেমন ওক্ববাহ
বিন আমের (রাঃ) বলেন, আট বছর পর নবী করীম (ছাঃ) ওহোদের শহীদদের জন্য (কবরস্থানে) এমনভাবে দো’আ করলেন যেমন কোন বিদায় গ্রহণকারী জীবিত ও মৃতদের জন্য দো‘আ করেন (বুখারী হা/৪০৪২; মুসলিম হা/২২৯৬; মিশকাত হা/৫৯৫৮)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, নবী করীম (ছাঃ) একদা বের হ’লেন এবং ওহোদে পৌঁছে মাইয়েতের জন্য যেরূপ (জানাযায়) দো‘আ করা হয় ওহোদের শহীদানের জন্য অনুরূপ দো‘আ করলেন’ (বুখারী হা/১৩৪৪; মুসলিম হা/২২৯৬)

উপরোক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী ও আবু হাতেম বলেন, মাইয়েতের জন্য ছালাতে দো‘আ পাঠের ন্যায় তিনি দো‘আ করলেন (মুসলিম হা/২২৯৬-এর ব্যাখ্যা; মির‘আত ৫/৪০০; ইবনু হিববান হা/৩১৯৯)

হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, সম্ভবত রাসূল (ছাঃ) তাঁর মৃত্যু নিকবর্তী হওয়ার বিষয়টি জেনে নেওয়ার ফলে ওহোদের শহীদগণের জন্য দো‘আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন (ফাৎহুল বারী ৩/২১০)

উল্লেখ্য যে, শহীদগণের জন্য সাধারণভাবে জানাযার ছালাত নেই। কারণ ছালাত হ’ল মাইয়েতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা। আর শহীদদের আল্লাহ্ ক্ষমা করে দিয়েছেন’ (কুরতুবী, আল-বায়ান ওয়াত তাহছীল ২/২৯৯)

জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ওহোদের শহীদগণকে রক্তমাখা দেহে দাফন করেন। তিনি তাদের জানাযার ছালাত আদায় করেননি (বুখারী হা/১৩৪৩; মিশকাত হা/১৬৬৫)

অবশ্য কেউ চাইলে শহীদগণের জন্যও জানাযার ছালাত আদায় করতে পারেন। তবে এটি ওয়াজিব নয় (নাসাঈ হা/১৯৫৩; শারহু মা‘আনিল আছার হা/২৬৫৭, সনদ হাসান; আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১/৮২)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button