অন্যান্য

প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, সাত প্রকারের ঘুম আছে। যেমন ১. নাওমুল গাফেলীন, ওয়ায মাহফিলে ঘুমানো। ২. নাওমুল আশক্বিয়া, ছালাতের সময় ঘুমানো। ৩. নাওমুল মালঊনীন, ফজরের ছালাতের সময় ঘুমানো। ৪. নাওমুল মু‘আয্যিবীন, ফজরের আযান থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমানো। ৫. নাওমুর রাহাহ অর্থ প্রশান্তির ঘুম। এসময়ের স্বপ্ন সত্য হয়। ৬. নাওমুল মারখূছ, মাগরিব ও এশার ছালাতদ্বয়ের পরে ঘুমানো। এসময় ঘুমানোয় কোন দোষ নেই। ৭. নাওমুল হাসরাহ অর্থ ক্ষতির ঘুম। এটি হ’ল জুম‘আর রাতের ঘুম। এমন ভাগাভাগির কোন শারঈ ভিত্তি আছে কি?

উত্তর : এভাবে শ্রেণী বিন্যাসের কোন শারঈ ভিত্তি নেই। তাছাড়া এতে কিছু বাড়াবাড়ি রয়েছে।
কারণ ঘুমের মৌলিক বিষয় হ’ল সেটি জায়েয এবং যেকোন সময় যেকোন কারণে তা হ’তে পারে।

আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম হ’ল রাত্রি ও দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা ও তার মধ্যে আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন সমূহ রয়েছে (বুঝদার) শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য’ (রূম ৩০/২৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শোন! নিদ্রা অবস্থার কোন অবহেলা ধর্তব্য নয় (তিরমিযী হা/১৭৭; ছহীহুল জামে‘ হা/২৪১০)

সুতরাং মানুষ প্রয়োজনবোধে যেকোন সময় ঘুমাতে পারে। তবে ছালাত আদায় না করে
ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুমালে কঠিন শাস্তির কথা হাদীছে এসেছে। জাহান্নামে তার মাথা অব্যাহতভাবে পাথর দিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে (বুখারী হা/১৩৮৬; মিশকাত হা/৪৬২১)

রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণের ফজরের ছালাতের পরে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমাতেন না (মুসলিম হা/৬৭০; মিশকাত হা/৪৭৪৭)

এসময় রিযিকে বরকত হয় এবং রিযিক বণ্টন করা হয়। এজন্য এসময় না ঘুমানোই সমীচীন, যদিও নিষেধাজ্ঞা নেই (আবুদাঊদ হা/২৬০৬; মিশকাত হা/৩৯০৮)

এছাড়া এশার ছালাতের পূর্বে ঘুমানোকে রাসূল (ছাঃ) অপসন্দ করতেন (বুখারী হা/৫৬৮; মুসলিম হা/৬৪৭)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button