আদব ও শিষ্টাচার

প্রশ্ন : খাওয়ার সময় সালাম আদান-প্রদান বা প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে কি ?

উত্তর : খাওয়ার সময় সালাম বিনিময় বা প্রয়োজনীয় আলাপ করা যায়। যেসব কথা সাধারণ অবস্থায় জায়েয, তা খাদ্য গ্রহণের সময়ও জায়েয। ‘খাদ্যগ্রহণের সময় কোন কথা বা কোন সালাম দেওয়া যাবে না’ মর্মে যেকথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তার কোন ভিত্তি নেই।

রাসূল (ছাঃ) খাবারের সময় প্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার রাসূল (ছাঃ) খাদ্যগ্রহণকালে বলেন, ‘আমি কিয়ামতের দিন
সমগ্র মানব জাতির সরদার হব। তোমরা কি জানো আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে একত্রিত করবেন? (বুখারী হা/৩৩৪০; মুসলিম হা/১৯৪)

জাবের (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূল (ছাঃ) সিরকা খেতে খেতে বললেন, সিরকা কতই না ভাল তরকারী, সিরকা কতই উত্তম তরকারী! (মুসলিম হা/২০৫২; মিশকাত হা/৪১৮৩)

অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী বলেন, খাওয়ার সময় খাবার গ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলা মুস্তাহাব (শরহ মুসলিম ১৪/০৭)

ইবনুল ক্বাইয়িম বলেন, নবী (ছাঃ) খাবারের সময় খাদ্যের বিষয়ে কথা বলতেন… (যাদুল মা‘আদ ২/৩৬৭)

তবে এর অর্থ এটা নয় যে, খাওয়ার সময় অহেতুক গল্প করতে হবে। যেমন আজকাল ভোজসভাগুলিতে হয়ে থাকে। বরং এসময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের মধ্যে থাকতে হবে।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button