আদব ও শিষ্টাচার

প্রশ্ন : যুলুমের শিকার হওয়ার পরও মুসলিম ভাইকে ক্ষমা করার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

উত্তর : সর্বাবস্থায় মানুষকে ক্ষমা করার গুরুত্ব ও ফযীলত অত্যধিক। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদের সাথে করা হয়েছে। কিন্তু যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, তাহ’লে ধৈর্যশীলদের জন্য নিশ্চয়ই সেটি উত্তম’ (নাহাল ১৬/ ১২৬)

তিনি বলেন, আর যদি তোমরা মার্জনা কর, উপেক্ষা কর এবং মাফ করে দাও। তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু’ (তাগাবুন ৬৪/১৪)

আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ক্ষমার নীতি গ্রহণ কর, লোকদের সৎকাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদের এড়িয়ে চল’ (আ‘রাফ ৭/১৯৯)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বান্দা যুলুমের শিকার হওয়ার পর যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছবর করে, তবে অবশ্যই আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন’ (তিরমিযী হা/২৩২৫, মিশকাত হা/৫২৮৭)

তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা ক্ষমা কর, তাহ’লে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৩৮০; আহমাদ হা/৬৫৪১, ছহীহ আত-তারগীব হা/২৪৬৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button