যাকাত

প্রশ্ন : আমার নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে এবং ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করা আছে। কিন্তু সমুদয় সম্পদের চেয়ে ঋণ আরো বেশী আছে। এক্ষণে আমার উপর যাকাত ফরয হবে কি? হ’লে কি জমানো, বিনিয়োগকৃত, ঋণকৃত সব টাকার উপর যাকাত দিতে হবে?

উত্তর : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। যেমন ওছমান (রাঃ) বলেন,
এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে তাহ’লে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার যাকাত আদায় করবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৮৭৩; ইরওয়া ৩/৩৪১, সনদ ছহীহ)

যদি ঋণ পরিশোধ না করে, তাহ’লে নিছাব পরিমাণ সমস্ত সম্পদের উপরে যাকাত আদায়
করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তাদের সম্পদ হ’তে ছাদাক্বা (যাকাত) গ্রহণ কর। যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে ও পরিশুদ্ধ করবে’ (তওবা ৯/১০৩)

এখানে ঐ ধনী ব্যক্তিরা ঋণগ্রস্ত কি-না, সেটা শর্ত করা হয়নি। অতএব ঋণগ্রস্ত মুমিনদের সর্বাগ্রে ঋণ পরিশোধ করা কর্তব্য। কারণ ঋণ রেখে মৃত্যুবরণ করলে তার ক্ষমা নেই। অনেক ব্যবসায়ী ঋণকৃত টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করেন না। উল্টা নিজেকে ঋণগ্রস্ত দেখিয়ে যাকাত দেন না। এরূপ কপট
আচরণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button