প্রশ্ন : আমার আপন ভাই নানা প্রকার সূদী ঋণ নিয়ে বেশুমার খরচ করে এখন ঋণগ্রস্ত। একই সাথে তার নেশাখোর সন্তান নানাভাবে বহু অর্থ নষ্ট করে চলেছে। এক্ষণে তার ঋণমুক্তির জন্য আমরা ভাই-বোনেরা যাকাতের টাকা প্রদান করলে তা জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য যে, বিষয়টি স্বভাবগত হওয়ায় হয়তবা সে আবারো ঋণগ্রস্ত হবে। এমতাবস্থায় করণীয় কি?
বরং আত্মীয়কে দিলে দ্বিগুণ ছওয়াব হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মিসকীনকেনছাদাক্বা দিলে একটি নেকী হয়। কিন্তু সে যদি রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয় হয়, তবে নেকী দ্বিগুণ হয়। এক- ছাদাক্বা এবং দুই-আত্মীয়তা (আহমাদ, তিরমিযী প্রভৃতি, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১৯৩৯ ‘যাকাত’ অধ্যায়, ‘শ্রেষ্ঠতম ছাদাক্বা’ অনুচ্ছেদ)।
দু’জন মহিলা ছাহাবীকে নিজ নিজ দরিদ্র স্বামীকে ছাদাক্বা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, ‘তাদের জন্য দু’টির পুরস্কার রয়েছে : (১) আত্মীয়তার পুরস্কার (২) ছাদাক্বার পুরস্কার’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৩৪)।
তবে প্রশ্নোল্লেখিত ভাইকে যাকাত প্রদান করলে যদি সে আবারও সূদী লেনদেনসহ আরও অন্যায়ে জড়িয়ে পড়ে, তবে তাকে যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ এবং সীমালংঘনের কাজে কাউকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
এমতাবস্থায় পাপ থেকে বিরত থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার করলে তবেই তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে, নইলে নয়।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।