প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা
প্রশ্ন : শিরক-বিদ‘আত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও যেসব সমাজ প্রধানগণ উক্ত কাজে বাধা না দিয়ে বরং প্ররোচিত করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি কি হবে?
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। নইলে সত্বর আল্লাহ তার পক্ষ হ’তে তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করবেন। অতঃপর
তোমরা দো‘আ করবে, কিন্তু তা আর কবুল করা হবে না’ (তিরমিযী হা/২১৬৯; মিশকাত হা/৫১৪০)।
তোমরা দো‘আ করবে, কিন্তু তা আর কবুল করা হবে না’ (তিরমিযী হা/২১৬৯; মিশকাত হা/৫১৪০)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘কোন জাতির মধ্যে পাপ হ’তে থাকলে এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা প্রতিরোধ না করলে সত্বর আল্লাহ তাদের উপরে ব্যাপক প্রতিশোধ
নামিয়ে দিবেন’ (আবুদাঊদ হা/৪৩৩৮; মিশকাত হা/৫১৪২)।
সুতরাং অন্যায়ের প্রতিরোধে সমাজনেতাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। যদি তারা সেটা না করে অন্যায় কাজে লিপ্ত হন এবং অপরকে অন্যায়ের প্রতি প্ররোচনা দেন, তবে তাদের শাস্তি সাধারণের তুলনায় অনেক বেশী হবে। কিয়ামতের দিন পাপীরা এরূপ নেতাদেরকে দায়ী করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতাদের ও বড়দের
আনুগত্য করতাম। অতঃপর তারাই আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল’। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তাদেরকে তুমি দ্বিগুণ শাস্তি দাও এবং তাদেরকে মহা অভিশাপ দাও’ (আহযাব ৩৩/৬৭-৬৮)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।