ঈমান কাকে বলে? ঈমানের শাখা-প্রশাখা এবং রুকন কয়টি ও কী কী?
প্রশ্নঃ ঈমান কাকে বলে? ঈমানের শাখা-প্রশাখা এবং রুকন কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ঈমানের আভিধানিক অর্থ হলো: স্বীকার করা। আর পারিভাষিক অর্থ হলো: মুখের স্বীকৃতি (ঘোষণা), অন্তরের বিশ্বাস এবং অংগ-প্রত্যংগ দিয়ে বাস্তবে কাজ করা। সৎ কাজের মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি পায়, আর পাপ কাজ করলে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঈমানের শাখা-প্রশাখা সত্তরটিরও অধিক: এর সর্বোচ্চ শাখা হলো: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা। আর সর্ব নিকটস্থ শাখা হলো, পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরে সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জা হলো ঈমানের শাখাসমূহের একটি।
ঈমানের রুকন ছয়টি: পূর্ণ ঈমান আনয়ন করা (১) আল্লাহ (২) আল্লাহর ফেরেশতাগণ (৩) আল্লাহর কিতাবসমূহ (৪) তাঁর রাসূলগণ (৫) আখেরাত (পরকাল) দিবস এবং (৬) তাকদীরের ও মন্দের প্রতি। এর সমর্থনে দলীল হলো, আল্লাহর বাণী:
﴿ ۞لَّيۡسَ ٱلۡبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ قِبَلَ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَلَٰكِنَّ ٱلۡبِرَّ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلۡكِتَٰبِ وَٱلنَّبِيِّۧنَ ﴾ [البقرة: ١٧٧]
‘‘সৎ কর্ম শুধু এ নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং সৎ কাজ হলো এ যে ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, আখেরাত দিবসের উপর, ফিরিশতাদের উপর, আসমানী কিতাবের উপর এবং নবী-রাসুলগণের উপর’’। (সূরা আল-বাকারা: ১৭৭)
আল্লাহ আরো বলেন:
﴿ إِنَّا كُلَّ شَيۡءٍ خَلَقۡنَٰهُ بِقَدَرٖ ٤٩ ﴾ [القمر: ٤٩]
‘‘আমরা প্রত্যেক বস্তুকে নির্ধারণ অনুসারে সৃষ্টি করেছি’’। (সূরা আল ক্বামার: ৪৯)
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী