প্রশ্ন: সন্তান মুসলিম কিন্তু মাতা-পিতা কাফের হলে, সন্তানের কর্তব্য কী?
উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।
দুনিয়ায় তাদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ وَإِن جَٰهَدَاكَ عَلَىٰٓ أَن تُشۡرِكَ بِي مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٞ فَلَا تُطِعۡهُمَاۖ وَصَاحِبۡهُمَا فِي ٱلدُّنۡيَا مَعۡرُوفٗاۖ وَٱتَّبِعۡ سَبِيلَ مَنۡ أَنَابَ إِلَيَّۚ ﴾ [لقمان: ١٥]‘‘তোমার মাতা-পিতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সাথে শরীক করতে, যে বিষয়ে তোমার কোন ইলম (জ্ঞান) নেই, তখন তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে দুনিয়াতে তাদের সাথে বসবাস করবে সৎভাবে। আর যে বিশুদ্ধচিত্তে আমার অভিমূখী হয়েছে তার পথকে অনুসরণ কর’’। (সূরা লুকমান: ১৫)
শুধুমাত্র ঈমান ও ইসলামের পরিপন্থী বিষয়ে তাদেরকে ভালোবাসা যাবে না এবং মান্য করবে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন:
﴿ لَّا تَجِدُ قَوۡمٗا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ يُوَآدُّونَ مَنۡ حَآدَّ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَوۡ كَانُوٓاْ ءَابَآءَهُمۡ أَوۡ أَبۡنَآءَهُمۡ أَوۡ إِخۡوَٰنَهُمۡ أَوۡ عَشِيرَتَهُمۡۚ ﴾ [المجادلة: ٢٢]‘‘তুমি পাবে না আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায়, যারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে, হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা আত্মীয় বা জ্ঞাতি-গোত্র’’। (সূরা আল-মুজাদালাহ: ২২)
অর্থাৎ: শির্ক, কুফরী এবং আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজে মাতা-পিতা বা অন্য কারোই আনুগত্য বা অনুসরন করা যাবে না; কিন্তু তাদের সেবা-যত্ন সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে এবং খোজ-খবর নিতে হবে। হতাশ না হয়ে নিরলসভাবে তাদেরকে ইসলামের পথে ডাকতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই বিরক্ত হওয়া চলবে না।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী