উত্তর : কাগজের টাকা স্বর্ণ বা রৌপ্যের মূল্যমান যা প্রথমে তাম্র মুদ্রা হিসাবে তাবেঈগণের যুগে চালু হয়ে পরবর্তীতে টাকার…
আরও পড়ুন ➲স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
উত্তর : ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূলনীতি হ’ল, ইবাহাত বা বৈধতা, যতক্ষণ না শরী‘আত কর্তৃক তা হারাম করা হয়। স্বর্ণ মৌলিকভাবে হালাল,…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। রাজনীতি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই এটি পূর্ণাঙ্গ (বাক্বারাহ ২০৮; মায়েদাহ ৩)। কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্রনেতাদের হাতেই…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: তোমার সাধারণ নিয়ম জেনে রাখা আবশ্যক যে, পুরাপুরি মূল্য গ্রহণ করা ব্যতীত মুদ্রার বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় করা কখনও…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: এটা বৈধ নয়; কারণ, যখন সে তা বিক্রয় করবে, তখন ক্রয়-বিক্রয়ের চাহিদা বা দাবি হল বিক্রেতার কাছ থেকে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: প্রাণীর ছবিসহ তৈরি স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলঙ্কার বিক্রয়, ক্রয় ও পরিধান করা হারাম এবং তা গ্রহণ করাও হারাম;…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: স্বর্ণ অথবা রৌপ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করা বৈধ নয়; আর এটা এ জন্য যে, চেক গ্রহণের…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: ঐসব মালিকদের অধীনে কাজ করা হারাম, যারা সুদের ভিত্তিতে অথবা প্রতারণার মাধ্যম অথবা অনুরূপ যে কোনো প্রকার হারাম…
আরও পড়ুন ➲ত্রয়োদশ প্রশ্ন: কোন কোন স্বর্ণের দোকানদার স্বর্ণের ব্যবসায়ীর নিকট যায় এবং তার নিকট থেকে কিলোগ্রাম বা অনুরূপ ওজনে নতুন স্বর্ণ গ্রহণ করে, আর এ স্বর্ণের সাথে মূল্যবান পাথরের মিশ্রণ থাকে, চাই সেই পাথর হউক আলমাস নামক দামী পাথর, অথবা যারাকুন বা অন্য কোন পাথর; আর ক্রেতা তাকে (দোকানদারকে) এ কিলোগ্রামের বিনিময়ে সমপরিমাণ ওজনে খাঁটি সোনা প্রদান করে যাতে কোনো প্রকার পাথর নেই; অতঃপর বিক্রেতা গহনা তৈরির পারিশ্রমিকের নামে (ক্রেতার নিকট থেকে) আরও অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে। এভাবে বিক্রেতার নিকট দু’টি বাড়তি বস্তু হয়ে গেল; একটি হল পাথরের ওজনের বিপরীতে অতিরিক্ত স্বর্ণ; আর দ্বিতীয়টি হল গহনা তৈরির পারিশ্রমিক বাবত অতিরিক্ত অর্থ; কারণ, সে হল স্বর্ণ ব্যবসায়ী, স্বর্ণকার নয়। অতএব, এ ধরনের কাজের বিধান কী হবে (আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন)
উত্তর: এ ধরনের কাজ হারাম; কেননা, তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত; আর প্রশ্নকর্তার বক্তব্যের আলোকে তাতে দুই কারণে সুদ হয়।…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: হে প্রশ্নকর্তা! আপনি জেনে রাখুন এবং যারা এ প্রোগ্রাম[1] বা অনুষ্ঠান শুনছেন তারা সকলেই জেনে রাখবেন যে, প্রত্যেক…
আরও পড়ুন ➲দ্বাদশ প্রশ্ন: সেই ক্ষেত্রে বিধান কী হবে— যে ব্যক্তি স্বর্ণ ক্রয় করল এবং তার উপরই ক্রয়-বিক্রয় শেষ করল, অতঃপর মূল্য পরিশোধ করল এবং মোট মূল্যের কিছু অংশ বাকি থাকল; ফলে সে কি বাকী মূল্য নিয়ে আসার জন্য যে কোনো জায়গায় (যেমন— গাড়ি কিংবা ব্যাংক থেকে নিয়ে আসার জন্য) যাওয়া জায়েয হবে? আর এ ক্ষেত্রে সে কি বাকি মূল্য নিয়ে আসার পরেই স্বর্ণ গ্রহণ করবে? এ ধরনের কাজ ঠিক হবে কিনা, নাকি বাকি মূল্য নিয়ে আসার পরে পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা আবশ্যক হবে?
উত্তর: সবচেয়ে উত্তম হল বাকি মূল্য নিয়ে আসার পরে চুক্তি নবায়ন করা এবং এতে কোন ক্ষতি নেই, যা চুক্তি…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: পুরুষের জন্য তৈরি করা স্বর্ণের আংটি বিক্রয় করা হারাম, যখন বিক্রেতা জানতে পারবে যে, ক্রেতা অচিরেই তা পরিধান…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: এই কাজ বৈধ নয়; আর যখন এ ধরনের কাজ করবে, তখন যেটুকুর বিনিময় গ্রহণ করা হয়েছে ততটুকুর ক্রয়-বিক্রয়…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: এই ধরনের বৃদ্ধিতে কোন প্রকার সমস্যা বা অসুবিধা নেই; আর মুসলিমগণ তো তাদের ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বদা…
আরও পড়ুন ➲দশম প্রশ্ন: কোনো ব্যক্তি দোকানদারের নিকট স্বর্ণ বিক্রি করল (কিন্তু অর্থ গ্রহণ করেনি), অতঃপর সে দোকানদারের নিকট থেকে অন্য স্বর্ণ ক্রয় করল প্রায় সেই পরিমাণ, যেই পরিমাণ সে তার কাছে বিক্রি করেছে। অতঃপর ক্রেতা ক্রয়কৃত স্বর্ণের মূল্য ঐ অর্থ থেকে পরিশোধ করল যা সে দোকানদারের নিকট বিক্রি করেছিল কিন্তু উক্ত মূল্য গ্রহণ না করে দোকানদারের কাছে রেখে দিয়েছিল। — এমতাবস্থায় তার বিধান কী হবে?
উত্তর: এই ধরনের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়; কেননা, যখন কেউ কোনো জিনিস এমন কোনো মূল্যে বিক্রি করে যে মূল্য ক্রেতা…
আরও পড়ুন ➲ঊনবিংশ প্রশ্ন: এর বিধান কী হবে— ক্রেতা কর্তৃক পরামর্শ করার উদ্দেশ্যে নেয়া স্বর্ণের বিপরীতে কোনো ব্যবসায়ী (ক্রেতা থেকে) স্বর্ণ গ্রহণ করল; আর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্রেতা যা গ্রহণ করেছে ক্রেতা কর্তৃক তা ফেরত দেয়া পর্যন্ত ব্যবসায় এ স্বর্ণটি বন্ধক হিসেবে গ্রহণ করেছে, অথচ এটা নিশ্চিত জানা কথা যে, ক্রেতা কর্তৃক গৃহীত স্বর্ণ ও ব্যবসায়ী কর্তৃক বন্ধক হিসেবে গৃহীত স্বর্ণের মাঝে ওজনের ক্ষেত্রে তারতম্য রয়েছে?
উত্তর: এতে কোনো সমস্যা নেই; কেননা সে তা তার নিকট বিক্রি করেনি; সে তো শুধু বলেছে: এ স্বর্ণটা আপনার…
আরও পড়ুন ➲নবম প্রশ্ন: যখন কোন কোন স্বর্ণ ক্রয়কারী ব্যক্তি নতুন স্বর্ণের মূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, অতঃপর যখন তার মূল্য সম্পর্কে জানতে পারে, তখন দাঁড়িয়ে তার নিকটে থাকা ব্যবহৃত স্বর্ণ বের করে এবং তা বিক্রি করে দেয়; আর তাকে দিরহাম বা প্রচলিত মুদ্রায় তার মূল্য পরিশোধ করে দেয়ার সময় সে দাঁড়িয়ে যায় এবং নতুন সামগ্রী ক্রয় করে— এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
উত্তর: এটা দোষনীয় নয়, যখন সেখানে পূর্ব থেকেই কোন প্রকার সমঝোতা ও বুঝাপড়া না থাকে; তবে ইমাম আহমদ র.…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: মজুরি তখনই দিয়ে দেওয়া জরুরি নয়; কারণ, এ পারিশ্রমিক তো কাজের উপর নির্ভর করবে (স্বর্ণের সাথে নয়)। সুতরাং…
আরও পড়ুন ➲অষ্টম প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি স্বর্ণের কারখানায় গহনা তৈরির জন্য তার স্বর্ণ হস্তান্তর করে, তারপর কখনও কখনও কারখানায় স্বর্ণ গলানোর সময় তার স্বর্ণ অন্যের স্বর্ণের সাথে মিশে যায়, কিন্তু কারখানা থেকে মালিকপক্ষ তার নিকট তা (গহনা) হস্তান্তর করার সময় তার দেয়া স্বর্ণের সম ওজনেই হস্তান্তর করে— এমতাবস্থায় তার বিধান কী হবে?
উত্তর: কারখানার কারিগরের উপর আবশ্যকীয় কর্তব্য হল মানুষের সম্পদসমূহের ক্ষেত্রে একজনের সম্পদ অপরজনের সম্পদের সাথে মিশ্রিত না করা, যখন…
আরও পড়ুন ➲সপ্তম প্রশ্ন: সেই ক্ষেত্রে কী বিধান হবে— কোনো কোনো স্বর্ণের দোকানদার ব্যবহার করা সোনা চকচকে থাকলে তা ক্রয় করার পর নতুন সোনার মূল্যে বিক্রি করার জন্য পেশ করে। এ জাতীয় বিক্রয় বৈধ হবে কি; নাকি ক্রেতাকে তা ব্যবহৃত বলে জানিয়ে দেওয়াটা জরুরি হবে; কিংবা তাকে অবহিত করার প্রয়োজন হবে না। কারণ ক্রেতাদের কেউ কেউ এ কথা জিজ্ঞাসা করে না যে, সেটা নতুন না পুরাতন?
উত্তর: এ অবস্থায় বিক্রেতার জন্য আবশ্যক হলো, কল্যাণকামী হওয়া এবং নিজের জন্য যা ভাল মনে করে তার ভাইয়ের জন্যও…
আরও পড়ুন ➲ষষ্ঠ প্রশ্ন: সেই ক্ষেত্রে কী বিধান হবে— যখন কোনো ক্রেতা এসে (কোনো দোকান থেকে) স্বর্ণের পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে, অতঃপর শর্ত করে যে, যদি তা ভালো না হয়, তাহলে সে পরিবর্তন করার জন্য অথবা তার মূল্য ফেরত নেওয়ার জন্য তা দোকানে ফিরিয়ে দিবে? আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে শরী‘য়তসম্মত পদ্ধতি কী হবে— যেখানে কোনো কোনো ব্যক্তি শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করার কারণে তার পক্ষে ঐ দিনে অথবা দ্বিতীয় দিনে দোকানে পুনরায় ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে উঠে?
উত্তর: এইরূপ পরিস্থিতিতে তার জন্য সবচেয়ে উত্তম ও সুন্দর পদ্ধতি হল চুক্তি সম্পন্ন করার আগেই স্বর্ণের পণ্যদ্রব্য নিয়ে তার…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: ওকীল বা প্রতিনিধি বানানো এমন একটি চুক্তি যা বুঝা যায় এমন প্রত্যেক কথা ও কাজ দ্বারা সংঘটিত হয়।…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: এই ধরনের শর্তারোপ করাও বৈধ নয়; কারণ, এটা কম-বেশি করে স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণের ক্রয়-বিক্রয় করার একটা হীন কৌশল;…
আরও পড়ুন ➲তৃতীয় প্রশ্ন: কোনো কোনো স্বর্ণের দোকানদার বাকিতে স্বর্ণ ক্রয় করে এমন বিশ্বাসে যে, এটা বৈধ এবং তাদের যুক্তি হল— এটা ব্যবসার পণ্যসামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত, অথচ এ ব্যাপারে তাদের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে যখন পেশ করা হলো যে, এ ধরনের কারবার বৈধ নয়; তখন তারা বলে যে, এ ধরনের লেনদেন বা কারবারের ব্যাপারে আলেমগণের জানা নেই।
উত্তর: নিশ্চয় এটি অর্থাৎ দিরহাম তথা মুদ্রার বিনিময়ে বাকিতে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম; কারণ, তা ‘রিবায়ে নাসিয়া’ বা…
আরও পড়ুন ➲উত্তর: আমার নিকট এ প্রশ্ন এবং তার পূর্বের প্রশ্নের মধ্যে আলাদা কোনো পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না; সুতরাং…
আরও পড়ুন ➲প্রথম প্রশ্ন: অনেক স্বর্ণের দোকানদার ব্যবহৃত (ভাঙ্গাচূরা) স্বর্ণ ক্রয়ের কারবার করে, অতঃপর তা নিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নিকটে যায় এবং সমান সমান ওজনে তৈরি করা নতুন স্বর্ণের দ্বারা তা পরিবর্তন করে নেয়, আর সাথে তারা নতুন স্বর্ণের জন্য তৈরি বাবদ বাড়তি পারিশ্রমিক গ্রহণ করে— এমতাবস্থায় এর বিধান কী হবে?
উত্তর: بسم الله الرحمن الرحيم و الحمد لله رب العالمين و الصلاة و السلام على نبينا محمد و على…
আরও পড়ুন ➲স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি…
আরও পড়ুন ➲