শারঈ আইন

প্রশ্ন : কেউ কুরআনকে বা নবীকে অপমান করলে, তাকে প্রকাশ্যে হত্যার বিধান ইসলামে আছে কি?

উত্তর : কোন মুসলিম যদি নবীকে গালি দেয় অথবা কুরআনকে অপমানসূচক কোন মন্তব্য করে, তাহলে সে মুরতাদ বা কাফের হয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করেছ’ (সূরা আত-তওবা : ৬৫-৬৬)।

নবী-রাসূলকে গালি দিলে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে তা বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এমন ঘটনা ঘটলে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হত্যাকে বৈধতা দিয়েছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, একজন লোকে দু’সন্তানের মা ছিল যা কলিজার টুকরার ন্যায়। কিন্তু সেই স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে গালাগালি করত। ছাহাবী তাকে নিষেধ করলেও মহিলা তা শুনত না। ধমক দিলেও শুনত না। একদিন রাতে সে আর সহ্য করতে না পেরে তার উপর উঠে কুড়াল জাতীয় একটি অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ক্বিছাছ গ্রহণ করেননি (মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮০৪৪, সনদ ছহীহ)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button