রমজান মাসের ৩০ আমল (প্রথম পর্ব)
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺳﻴﺪ ﺍﻟﻤﺮﺳﻠﻴﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﺃﺟﻤﻌﻴﻦ ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ
রমাদান মাস আল্লাহ তা‘আলা এক বিশেষ নিয়ামাত। সাওয়াব অর্জন করার মৌসুম।
এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, রহমাত, বরকত ও নাজাতের মাস-রমাদান মাস।
আলকুরআনে এসেছে,
﴿ ﺷَﻬۡﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﭐﻟَّﺬِﻱٓ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻓِﻴﻪِ ﭐﻟۡﻘُﺮۡﺀَﺍﻥُ ﻫُﺪٗﻯ ﻟِّﻠﻨَّﺎﺱِ ﻭَﺑَﻴِّﻨَٰﺖٖ ﻣِّﻦَ ﭐﻟۡﻬُﺪَﻯٰ ﻭَﭐﻟۡﻔُﺮۡﻗَﺎﻥِۚ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٨٥ ]
‘‘রমাদান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে’’
[সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]রমাদান মাসের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﺃَﺗَﺎﻛُﻢْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺷَﻬْﺮٌ ﻣُﺒَﺎﺭَﻙٌ ﻓَﺮَﺽَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺻِﻴَﺎﻣَﻪُ ﺗُﻔْﺘَﺢُ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﺑْﻮَﺍﺏُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻭَﺗُﻐْﻠَﻖُ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﺑْﻮَﺍﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ ﻭَﺗُﻐَﻞُّ ﻓِﻴﻪِ ﻣَﺮَﺩَﺓُ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻟِﻠَّﻪِ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻴْﻠَﺔٌ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻟْﻒِ ﺷَﻬْﺮٍ ﻣَﻦْ ﺣُﺮِﻡَ ﺧَﻴْﺮَﻫَﺎ ﻓَﻘَﺪْ ﺣُﺮِﻡَ »
‘‘রমাদান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন।
এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো।
দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃংখলাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম।
যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল, সে বঞ্চিত হল (মহা কল্যাণ হতে)’’
[সুনান আত-তিরমিযি: ৬৮৩]এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারি।
নিম্নে রমাদান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তবে এ আমলগুলো করার জন্য শর্ত হলো:
এক. ইখলাস অর্থাৎ ‘‘একনিষ্ঠতার সাথে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যে আমল করা।
সুতরাং যে আমল হবে টাকা উপার্জনের জন্য, নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ও সুনাম-খ্যাতি অর্জনের জন্যে সে আমলে ইখলাস থাকবে না অর্থাৎ এসব ইবাদাত বা নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে না বরং তা ছোট শির্কে রূপান্তরিত হতে পারে।
আল-কুরআনে এসেছে,
﴿ ﻭَﻣَﺎٓ ﺃُﻣِﺮُﻭٓﺍْ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌۡﺒُﺪُﻭﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨۡﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﭐﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎٓﺀَ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻴﻨﺔ : ٥ ]
“আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ‘ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে”
[সূরা আল-বাইয়্যেনাহ : ৫]দুই. ইবাদাতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ।
সহীহ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে সকল ইবাদাতের কথা উল্লেখ আছে সেগুলো পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। কারণ, ইবাদাত হচ্ছে তাই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন।
কুরআনে এসেছে,
﴿ ﻭَﻣَﺎٓ ﺀَﺍﺗَﻯٰﻜُﻢُ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻓَﺨُﺬُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﻬَﻯٰﻜُﻢۡ ﻋَﻨۡﻪُ ﻓَﭑﻧﺘَﻬُﻮﺍْۚ ﻭَﭐﺗَّﻘُﻮﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَۖ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﭐﻟۡﻌِﻘَﺎﺏِ ٧ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ : ٧ ]
‘এবং রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও’
[সূরা হাশর: ৭]এ বিষয়ে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻣَﻦْ ﻋَﻤِﻞَ ﻋَﻤَﻼً ﻟَﻴْﺲَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻣْﺮُﻧَﺎ ﻓَﻬُﻮَ ﺭَﺩٌّ ».
‘‘যে এমন ইবাদত করল যাতে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই তা পরিত্যাজ্য হিসাবে গণ্য হবে’’।
[সহীহ মুসলিম : ৪৫৯০]রমাদান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো হলো-
[১] সিয়াম পালন করাঃইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হল সিয়াম। আর রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ।
সেজন্য রমাদান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা।
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ﻓَﻤَﻦ ﺷَﻬِﺪَ ﻣِﻨﻜُﻢُ ﭐﻟﺸَّﻬۡﺮَ ﻓَﻠۡﻴَﺼُﻤۡﻪُۖ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٨٥ ]
“সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে”
[সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]সিয়াম পালনের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻣَﻦْ ﺻَﺎﻡَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﻭَﺍﺣْﺘِﺴَﺎﺑًﺎ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺗَﻘَﺪَّﻡَ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺒِﻪِ »
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’
[সহীহ বুখারী : ২০১৪]« ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪٍ ﻳَﺼُﻮْﻡُ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﻓِﻲْ ﺳَﺒِﻴْﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺇِﻻَّ ﺑَﺎﻋَﺪَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ﻭَﺟْﻬَﻪُ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﺧَﺮِﻳْﻔًﺎ »
‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’।
[সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭][২] সময় মত সালাত আদায় করাসিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত নামায আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
﴿ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖۡ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَٰﺒٗﺎ ﻣَّﻮۡﻗُﻮﺗٗﺎ ١٠٣ ﴾ [ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : ١٠٣ ]
‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।’
[সূরা নিসা : ১০৩]এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
« ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻱُّ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻮَﺍﻗِﻴﺘِﻬَﺎ »
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী!
কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামায আদায় করা।
[সহীহ মুসলিম : ২৬৩][৩] সহীহভাবে কুরআন শেখারমাদান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহীহভাবে কুরআন শেখা। আর কুরআন শিক্ষা করা ফরয করা হয়েছে।
কেননা কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ ﭐﻗۡﺮَﺃۡ ﺑِﭑﺳۡﻢِ ﺭَﺑِّﻚَ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ١ ﴾ [ ﺍﻟﻌﻠﻖ : ١ ]
‘‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’’
[সূরা আলাক : ১]রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন শেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন
« ﺗَﻌَﻠَّﻤُﻮﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ، ﻭَﺍﺗْﻠُﻮﻩُ »
‘‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’’
[মুসনাদ আলজামি : ৯৮৯০][৪] অপরকে কুরআন পড়া শেখানোরমাদান মাস অপরকে কুরআন শেখানোর উত্তম সময়। এ মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻪُ »
‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’
[সহীহ আল-বুখারী : ৫০২৭]« ﻣَﻦْ ﻋَﻠَّﻢَ ﺁﻳَﺔً ﻣِﻦْ ﻛِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ، ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺛَﻮَﺍﺑُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺗُﻠِﻴَﺖْ »
‘যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শিক্ষা দিবে, যত তিলাওয়াত হবে তার সাওয়াব সে পাবে’
[সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ : ০৭][৫] সাহরী খাওয়াসাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাদীসে এসেছে,
« ﺍﻟﺴُّﺤُﻮﺭُ ﺃَﻛْﻠَﺔٌ ﺑَﺮَﻛَﺔٌ ﻓَﻼَ ﺗَﺪَﻋُﻮﻩُ ، ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﺮَﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺟَﺮْﻋَﺔً ﻣِﻦْ ﻣَﺎﺀٍ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺘَﺴَﺤِّﺮِﻱﻥَ »
‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও।
কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’
[মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ][৬] সালাতুত তারাবীহ পড়াসালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে।
হাদীসে এসেছে,
« ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻡَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﻭَﺍﺣْﺘِﺴَﺎﺑًﺎ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺗَﻘَﺪَّﻡَ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺒِﻪِ »
‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’
[সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]তারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবে।
তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত। হাদীসে আছে,
« ﺇِﻧَّﻪُ ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻡَ ﻣَﻊَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻨْﺼَﺮِﻑَ ﻛُﺘِﺐَ ﻟَﻪُ ﻗِﻴَﺎﻡُ ﻟَﻴْﻠَﺔ »ٍ
‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’
[সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭, সহীহ]।তারাবীর রাকাত সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংক গুলো দেখতে পারেনঃ
http://islamqa.info/bn/9036http://islamqa.info/en/
82152http://islamqa.info/en/38021
এটি কুরআনের মাস। তাই এ মাসে অন্যতম কাজ হলো বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻣَﻦْ ﻗَﺮَﺃَ ﺣَﺮْﻓًﺎ ﻣِﻦْ ﻛِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻠَﻪُ ﺑِﻪِ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ ، ﻭَﺍﻟﺤَﺴَﻨَﺔُ ﺑِﻌَﺸْﺮِ ﺃَﻣْﺜَﺎﻟِﻬَﺎ ، ﻻَ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﺍﻟْﻢ ﺣَﺮْﻑٌ ، ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺃَﻟِﻒٌ ﺣَﺮْﻑٌ ﻭَﻻَﻡٌ ﺣَﺮْﻑٌ ﻭَﻣِﻴﻢٌ ﺣَﺮْﻑٌ »
‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ।
বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ’’
[সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০, সহীহ]।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদান ব্যতীত কোন মাসে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন না।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
« ﻭَﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻧَﺒِﻰَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺮَﺃَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻛُﻠَّﻪُ ﻓِﻰ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻭَﻻَ ﺻَﻠَّﻰ ﻟَﻴْﻠَﺔً ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻭَﻻَ ﺻَﺎﻡَ ﺷَﻬْﺮًﺍ ﻛَﺎﻣِﻼً ﻏَﻴْﺮَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ».
‘‘রমাদান ব্যতীত অন্য কোনো রাত্রিতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করতে, কিংবা ভোর অবধি সালাতে কাটিয়ে দিতে অথবা পূর্ণ মাস রোযা পালন করে কাটিয়ে দিতে দেখি নি’’
[সহীহ মুসলিম : ১৭৭৩]।[৮] শুকরিয়া আদায় করারমাদান মাস পাওয়া এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। সেজন্য আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা এবং
আগামী রমাদান পাওয়ার জন্য তাওফীক কামনা করা। রমাদান সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ ﻭَﻟِﺘُﻜۡﻤِﻠُﻮﺍْ ﭐﻟۡﻌِﺪَّﺓَ ﻭَﻟِﺘُﻜَﺒِّﺮُﻭﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﺎ ﻫَﺪَﻯٰﻜُﻢۡ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢۡ ﺗَﺸۡﻜُﺮُﻭﻥَ ١٨٥ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٨٥ ]
‘‘আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’’
[সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]﴿ ﻭَﺇِﺫۡ ﺗَﺄَﺫَّﻥَ ﺭَﺑُّﻜُﻢۡ ﻟَﺌِﻦ ﺷَﻜَﺮۡﺗُﻢۡ ﻟَﺄَﺯِﻳﺪَﻧَّﻜُﻢۖۡ ﻭَﻟَﺌِﻦ ﻛَﻔَﺮۡﺗُﻢۡ ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑِﻲ ﻟَﺸَﺪِﻳﺪٞ ٧ ﴾ [ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ : ٧ ]
‘‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন’।’’
[সূরা ইবরাহীম : ৭]আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে বলতেন
« ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺣَﺎﻝٍ »
অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য
[সুনান আত-তিরমিযী : ২৭৩৮][৯] কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করাএ মাসটিতে একটি ভাল কাজ অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। সেজন্য যথাসম্ভব বেশি বেশি ভাল কাজ করতে হবে।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻭَﻳُﻨَﺎﺩِﻯ ﻣُﻨَﺎﺩٍ ﻳَﺎ ﺑَﺎﻏِﻰَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﺃَﻗْﺒِﻞْ ﻭَﻳَﺎ ﺑَﺎﻏِﻰَ ﺍﻟﺸَّﺮِّ ﺃَﻗْﺼِﺮْ ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻋُﺘَﻘَﺎﺀُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﻛُﻞَّ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ »
‘‘এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে আহবান করতে থাকে যে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরো অগ্রসর হও!
হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ কর। (তুমি কি জান?) এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন’’
[সুনান আত-তিরমিযী : ৬৮৪][১০] সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ারমাদান মাস ছাড়াও সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে বিরাট সাওয়াব এবং মর্যাদা রয়েছে।
রমাদানের কারণে আরো বেশি ফজিলত রয়েছে। যেহেতু সাহরী খাওয়ার জন্য উঠতে হয় সেজন্য রমাদান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগও রয়েছে।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡِ ﺑَﻌْﺪَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺷَﻬْﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻤُﺤَﺮَّﻡُ ﻭَﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻔَﺮِﻳﻀَﺔِ ﺻَﻼَﺓُ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ »
‘‘ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত’’
[সহীহ মুসলিম : ২৮১২][১১] বেশি বেশি দান-সদাকাহ করা
এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইয়াতীম, বিধবা ও গরীব মিসকীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও বেশি বেশি দান খয়রাত করা।
হিসাব করে এ মাসে যাকাত দেয়া উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি দান খয়রাত করতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত
,
« ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃَﺟْﻮَﺩَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻟْﺨَﻴْﺮِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺃَﺟْﻮَﺩُ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ »
‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’
[সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২][১২] উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা
রমাদান মাস নিজকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়।
কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻭَﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡُ ﺟُﻨَّﺔٌ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻮْﻡُ ﺻَﻮْﻡِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓَﻼَ ﻳَﺮْﻓُﺚْ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﻭَﻻَ ﻳَﺴْﺨَﺐْ ﻓَﺈِﻥْ ﺳَﺎﺑَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺃَﻭْ ﻗَﺎﺗَﻠَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ ﺇِﻧِّﻰ ﺍﻣْﺮُﺅٌ ﺻَﺎﺋِﻢٌ »
‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে।
রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’
[সহীহ মুসলিম : ১১৫১][১৩] ই‘তিকাফ করাই‘তিকাফ অর্থ অবস্থান করা। অর্থাৎ মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে সালাত, সিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইসতিগফার ও অন্যান্য ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে একাকী কিছু সময় যাপন করা।
এ ইবাদাতের এত মর্যাদা যে, প্রত্যেক রমাদানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদানের শেষ দশ দিন নিজে এবং তাঁর সাহাবীগণ ই‘তিকাফ করতেন।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
« ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻌَﺎﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻗُﺒِﺾَ ﻓِﻴﻪِ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﻳَﻮْﻣًﺎ ».
‘‘প্রত্যেক রমাযানেই তিনি শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। কিন্তু জীবনের শেষ রমযানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন’’
[সহীহ আলবুখারী : ২০৪৪]।দশ দিন ই‘তেকাফ করা সুন্নাত।
[১৪] দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করারমাদান মাস হচ্ছে দ্বীনের দাওয়াতের সর্বোত্তম মাস। আর মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকাও উত্তম কাজ।
এজন্য এ মাসে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা করা, কুরআন ও হাদীসের দারস প্রদান, বই বিতরণ, কুরআন বিতরণ ইত্যাদি কাজ বেশি বেশি করা।
আলকুরআনের ঘোষণা :
﴿ ﻭَﻣَﻦۡ ﺃَﺣۡﺴَﻦُ ﻗَﻮۡﻟٗﺎ ﻣِّﻤَّﻦ ﺩَﻋَﺎٓ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻَٰﻠِﺤٗﺎ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺇِﻧَّﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﻤُﺴۡﻠِﻤِﻴﻦَ ٣٣ ﴾ [ ﻓﺼﻠﺖ : ٣٣ ]
‘‘ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো এবং ঘোষণা করলো, আমি একজন মুসলিম’’
[সূরা হা-মীম সাজদাহ : ৩৩]হাদীসে এসেছে,
« ﻣَﻦْ ﺩَﻝَّ ﻋَﻠَﻰ ﺧَﻴْﺮٍ ﻓَﻠَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِ ﻓَﺎﻋِﻠِﻪِ »
‘‘ভাল কাজের পথ প্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারী অনুরূপ সাওয়াব পাবে’’
[সুনান আত-তিরমীযি : ২৬৭০][১৫] সামর্থ্য থাকলে উমরা পালন করাএ মাসে একটি উমরা করলে একটি হাজ্জ আদায়ের সমান সাওয়াব হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺈِﻥَّ ﻋُﻤْﺮَﺓً ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺗَﻘْﻀِﻲ ﺣَﺠَّﺔً ﻣَﻌِﻲ ».
‘‘রমাদান মাসে উমরা করা আমার সাথে হাজ্জ আদায় করার সমতুল্য’’
[সহীহ আলবুখারী : ১৮৬৩]প্রথম পর্ব সমাপ্ত