রোজা / সিয়াম

প্রশ্ন : রামাযান মাসে লায়লাতুল ক্বদরের বেজোড় রাত্রিগুলোতে ওয়ায-নছীহত করে তারপর ইবাদত করা হয়। এই রাতে ওয়ায করে সময় ব্যয় করা কি হাদীছ সম্মত?

উত্তর : ক্বদরের রাত্রি তথা রামাযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রিগুলোতে ওয়ায-নছীহত

করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তারিখ তিনদিন মসজিদে নববীতে জামা‘আত সহকারে তারাবীহ পড়েছিলেন।

উক্ত তিনদিনের প্রথম দিন রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত, ২য় দিন মধ্য রাত্রি পর্যন্ত
ও ৩য় দিন স্ত্রী-কন্যাসহ সারা রাত্রি তথা সাহারীর পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ সময়।ছালাত আদায় করেন (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৯৮)

এসময় তিনি কোন রাত্রিতে ওয়ায-নছীহত করেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে দাওয়াত দানের সাধারণ নির্দেশের আলোকে (নাহল ১৬/১২৫)

তারাবীহর ছালাতের মাঝে বিরতির সময় সংক্ষিপ্তভাবে শিক্ষামূলক কিছু বক্তব্য
প্রদান করায় কোন বাধা নেই। কিন্তু তা যেন রাত্রির ছালাতের মূল পরিবেশকে বিনষ্ট না করে এবং প্রচলিত ওয়ায মাহফিল ও খানাপিনার অনুষ্ঠানে পরিণত না হয়।

এতদ্ব্যতীত উক্ত রাতে সম্মিলিতভাবে কুরআন তেলাওয়াত বা দলবদ্ধ যিকর করাও শরী‘আত সম্মত নয়। বরং দীর্ঘ ক্বিরাআত ও রূকূ-সিজদার মাধ্যমে তারাবীহর ছালাত এবং যিকর-আযকার, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলীল ও দো‘আ-ইস্তেগফারের মাধ্যমে রাত্রি অতিবাহিত করাই সুন্নাত সম্মত।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button