সালাত আদায়ের পদ্ধতি

প্রশ্ন : কুরআন তেলাওয়াতের সময় সিজদার আয়াত পাওয়া গেলে কখন সিজদা করতে হবে? এ সময় কী দো‘আ পাঠ করতে হয়?

উত্তর : সিজদার আয়াত যখনই পাঠ করবে বা শ্রবণ করবে তখনই সিজদা দেওয়া সুন্নাত। ইবনু
ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং আমরা
তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম।
এতে এত ভিড় হ’ত যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সিজদা করার জন্য কপাল রাখার
জায়গা পেত না (বুখারী হা/১০৭৬; মিশকাত হা/১০২৫)

একস্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকলে এ সিজদা সঙ্গে সঙ্গে না করে কিছু পরেও করা যায়। স্থান
পরিবর্তন হ’লে আর সিজদা করতে হয় না, ক্বাযাও আদায় করতে হয় না। এই সিজদা
করলে নেকী আছে, না করলে গোনাহ নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৪ পৃ.)

সিজদায়ে তেলাওয়াতের নিয়ম হ’ল- প্রথমে তাকবীর দিয়ে সিজদায় যাবে। অতঃপর দো‘আ পড়বে এবং পুনরায় তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৯৩০; বায়হাক্বী ২/৩২৫, সনদ ছহীহ; তামামুল মিন্নাহ ২৬৯ পৃ.)। সিজদা মাত্র একটি হবে। এতে তাশাহহুদ নেই, সালামও নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৬৪)
এক্ষণে তেলাওয়াতে সিজদার সময় সুবহানা রাবিবয়াল আ‘লা পাঠ করবে বা নিমেণর
দো‘আ পাঠ করবে- সাজাদা ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া শাক্ক্বা সাম‘আহু
ওয়া বাছারাহু বিহাওলিহী ওয়া কুওয়াতিহী; ফাতাবা-রাকাল্লাহ-হু আহসানুল
খা-লেক্বীন। অর্থ : ‘আমার চেহারা সিজদা করছে সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি
একে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় ক্ষমতা ও শক্তি বলে এতে কর্ণ ও চক্ষু সন্নিবেশ
করেছেন। অতএব মহা পবিত্র আল্লাহ যিনি সুন্দরতম সৃষ্টিকর্তা’ (আবূদাঊদ হা/১৪১৪; মিশকাত হা/১০৩৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button