সালাত / নামায

প্রশ্ন : আযানের পূর্বে ‘বিসমিল্ল­াহ’ বলা, কুরআনের আয়াত পড়া, ইসলামী গযল বলা, বিভিন্ন দু‘আ পড়া, মানুষকে ডাকাডাকি করা, ফজরের আযানের পূর্বে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্নাঊম’ বলা যাবে কি?

উত্তর : আযানের পূর্বে উপরিউক্ত কাজগুলো করা সম্পূর্ণ শরী‘আত বিরোধী।

অনুরূপ রামাযান মাসে সাহারীর সময় আযান না দিয়ে সাইরেন বাজানো, ডাকাডাকি করা, ঢাক পেটানো, দলধরে চিৎকার করা ইত্যাদি জাহেলী রীতি (ছহীহ বুখারী হা/১৯১৯, (ইফাবা হা/১৭৯৭, ৩/২৪৯ পৃ.); ছহীহ মুসলিম হা/১০৯২; মিশকাত হা/৬৮০; ফাৎহুল বারী হা/৬২১-এর আলোচনা দ্র.)।

বরং সুন্নাত অনুযায়ী সাহারীর জন্য আযান দিতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৯১৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯২; মিশকাত হা/৬৮০)।

আযান দেয়ার পূর্বে কোনকিছু বলা বা দু‘আ পড়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আযানের পর মাইকে উচ্চকণ্ঠে দু‘আ পড়াও ঠিক নয় (ছহীহ বুখারী, হা/২৯৯২, (ইফাবা হা/২৭৮৪, ৫/২২২ পৃ.); ছহীহ মুসলিম, হা/২৭০৪; মিশকাত হা/২৩০৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২১৯৫, ৫/৮৭ পৃ.)।

অনুরূপ আযানের পর মসজিদে আসার জন্য পুনরায় ডাকা যাবে না। যেমন বহু মসজিদে চালু আছে। এটা স্পষ্ট বিদ‘আত (আবু দাঊদ হা/৫৩৮, ১/৭৯ পৃ., সনদ হাসান)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button