প্রশ্ন : জুম‘আ বা বিভিন্ন খুৎবায় পঠিত ‘খুৎবাতুল হাজতে’র শব্দগুলি কি সুনির্দিষ্ট? জুম‘আতে এবং বিবাহে খুৎবাতুল হাজত পাঠের হুকুম কি? যে কোন বক্তব্য ও লেখনীর শুরুতে খুৎবাতুল হাজত কি যরূরী?
আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দু’টি তাশাহহুদ শিখাতেন একটি ছালাতে পড়ার জন্য, অপরটি খুৎবাতুল হাজতের জন্য (তিরমিযী হা/১১০৫; মিশকাত হা/৩১৪৯, সনদ ছহীহ)।
বিবাহকালে ‘খুৎবাতুল হাজত’ বা বিবাহের খুৎবা পাঠ করা সুন্নাত। তবে জুম‘আয় খুৎবাতুল হাজত পাঠ করা ওয়াজিব। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যেসব খুৎবায় (বক্তৃতায়) তাশাহহুদ পাঠ করা হয় না তা পঙ্গু হাতের সমতুল্য’ (আবূদাঊদ হা/৪৮৪১; মিশকাত হা/৩১৫০; ছহীহাহ হা/১৬৯)।
এক্ষণে লেখনী বা সাধারণ বক্তব্যের পূর্বে খুৎবাতুল হাজত পাঠ করা যরূরী নয়। সেজন্য ইমাম বুখারীসহ অধিকাংশ মুহাদ্দিছ তাঁদের সংকলিত হাদীছ গ্রন্থসমূহে খুৎবাতুল হাজত লেখেননি। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে লেখা পত্রে খুৎবাতুল হাজত লেখেননি। অতএব বিবাহে এটি পাঠ করা সুন্নাত, জুম‘আয় ওয়াজিব ও সাধারণ অবস্থায় মুস্তাহাব (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ১৮/২৮৭; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৯/১, ৭/২২০; আলবানী, খুৎবাতুল হাজাত ১/৩৫-৪২)।
উল্লেখ্য যে, খুৎবার মূল বিষয়বস্ত্ত তথা হামদ-ছানা ও দরূদ পাঠ অক্ষুণ্ণ রেখে ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন আলংকারিক বাক্যে খুৎবা পাঠ করে থাকেন। এতে
দোষের কিছু নেই।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।