সালাত / নামায

প্রশ্ন : মুক্বীম অবস্থায় কোন কারণ ছাড়াই ছালাত জমা করায় বাধা আছে কি?

উত্তর : জায়েয আছে। তবে বিনা কারণে এটা করা সমীচীন নয়।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা মদীনায় যোহর ও আছরের ছালাত এবং মাগরিব ও এশার ছালাত একত্রে জমা করে পড়লেন, কোন ভয়-ভীতি কিংবা সফরের ওযর ছাড়াই। জিজ্ঞেস করা হ’ল, কেন তিনি এটা করলেন? উত্তরে ইবনু আববাস বললেন, যাতে
উম্মতের কষ্ট না হয়’ (বুখারী হা/৫৪৩; মুসলিম হা/৭০৫)

এটি জায়েয রাখা হয়েছে এজন্য যে, বিশেষ অবস্থায় যেন উম্মত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করতে অনীহা বোধ না করে। ইমাম আহমাদ সহ জমহূর বিদ্বানগণের মতে, এই হাদীছ বিশেষ
শারঈ ওযর যেমন বৃষ্টি, ভয়, অসুস্থতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অতএব ওযর
ব্যতীত স্বাভাবিক অবস্থায় এভাবে নিয়মিত ছালাত জমা করা ঠিক হবে না।

কেননা রাসূল (ছাঃ) জীবনে মাত্র একবারই এরূপ করেছিলেন। আর ছাহাবী ও তাবেঈদের
মধ্যেও কোন শারঈ ওযর ব্যতীত এটির আমল পাওয়া যায় না (নববী, শরহ মুসলিম ৫/২১৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩০৪-৫)

যেভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর নিয়মিত আমল ছিল ফজরের ছালাত গালাসে (অন্ধকারে) পড়া। কিন্তু মাত্র একবার তিনি ইসফারে অর্থাৎ ফর্সা হ’লে পড়েন (আবুদাঊদ হা/৩৯৪; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৫৩-৫৪ পৃ.)

শুধুমাত্র বিশেষ অবস্থায় জায়েয রাখার জন্য। কিন্তু হানাফী মাযহাবের ভাইয়েরা সেটাকেই স্থায়ী রীতি করে নিয়েছেন।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button