সালাত / নামায
প্রশ্ন : যে ব্যক্তি দিনে বা রাতে বারো রাক‘আত (সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ) আদায় করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন’ (নাসাঈ হা/১৭৯৯)। এক্ষণে উক্ত বারো রাক‘আত ছালাত দিনে বা রাতে একইবারে আদায় করা যাবে কি? যেমনটি প্রখ্যাত তাবেঈ আত্বা করতেন।
উত্তর : উক্ত বারো রাক‘আত ছালাত একই সাথে পড়া যাবে না। কারণ উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় এই বারো রাক‘আত পড়ার সময় বর্ণিত হয়েছে। যেমন উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি দিন-রাতে বারো রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। চার রাক‘আত যোহরের পূর্বে, দু’রাক‘আত যোহরের পরে, দু’রাক‘আত মাগরিবের পরে, দু’রাক‘আত এশার পরে এবং দু’রাক‘আত ফজরের পূর্বে (তিরমিযী হা/৪১৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি দিন-রাতে বারো রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। চার রাক‘আত যোহরের পূর্বে, দু’রাক‘আত যোহরের পরে, দু’রাক‘আত মাগরিবের পরে, দু’রাক‘আত এশার পরে এবং দু’রাক‘আত ফজরের পূর্বে (তিরমিযী হা/৪১৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)।
উপরোক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা অন্য একাধিক হাদীছে স্পষ্টভাবে এসেছে। যেমন ইবনু ওমর (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে যোহরের পূর্বে দু’রাক‘আত সুন্নাত সহ মোট ১০ রাক‘আতের নিয়মিত আমলের কথা এসেছে (বুখারী হা/১১৮০; মুসলিম হা/৭২৯; মিশকাত হা/১১৬০)।
অতএব এক্ষেত্রে তাবেঈ আত্বার উক্ত আমল গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা তাঁর বক্তব্যেই বুঝা যায় যে, তাঁর নিকটে ব্যাখ্যা সম্বলিত হাদীছটি পৌঁছেনি। যেমন তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি যে, উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ফরয ব্যতীত দিনে ও রাতে ১২ রাক‘আত নফল
ছালাত আদায় করবে, আল্লাহ জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করবেন’ (নাসাঈ হা/১৭৯৬; ছহীহাহ হা/২৩৪৭)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।