প্রশ্ন : জনৈক ইমাম রুকূ ও সিজদায় দীর্ঘ সময় থাকেন। এতে দিন দিন মুছল্লী কমে যাচ্ছে। ইমামকে বলা হ’লে তিনি বলেন, ছাহাবীদের রুকূ-সিজদা এমন ছিল যে তাদের পিঠে পাখি বসত। এক্ষণে সাধারণ মুছল্লীদের করণীয় কি?
অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বিতৃষ্ণার উদ্রেককারী রয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদেরকে নিয়ে ছালাত আদায় করবে, সে যেন সংক্ষিপ্ত করে (বুখারী হা/৭০৪; মুসলিম হা/৪৬৬; মিশকাত হা/১১৩২)।
মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) ছালাতে দীর্ঘ তেলাওয়াত করলে রাসূল (ছাঃ) তাকে ‘ফিৎনাকারী’ বলে ধমক দেন এবং ছালাত সংক্ষিপ্ত করতে বলেন (বুখারী হা/৭০৫; মুসলিম হা/৪৬৫; মিশকাত হা/৮৩৩)।
রুকূ অবস্থায় ছাহাবীগণের পিঠে পাখি বসে থাকত মর্মে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ)-এর আমলটি তাঁর ব্যক্তিগত আমল ছিল (ইমাম আহমাদ, আয-যুহ্দ হা/৭৩৫)।
একাকী ছালাত আদায় করলে যে কেউ ইচ্ছামত ছালাত দীর্ঘায়িত করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) রুকূর সময় তার পিঠকে এমনভাবে সমান্তরাল করতেন যে, তাতে পানি ঢেলে দিলে তা গড়িয়ে পড়ত না (আহমাদ হা/৯৯৭; ছহীহাহ হা/৩৩৩১)।
এর অর্থ এই নয় যে, এটি রুকূ দীর্ঘায়িত করার কারণে ছিল। বরং পিঠ সোজা করার কারণে ছিল (আহমাদ হা/৯৯৭; ছহীহাহ হা/৩৩৩১)। অতএব ইমামকে সুন্নাত অনুযায়ী আমল করা কর্তব্য।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।