প্রশ্ন : জনৈক ইমাম ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করেন। এরূপ কাজ জায়েয হবে কি? যদি এরূপ উপার্জন হারাম হয়, তাহ’লে ঐ ইমামের পিছনে ছালাত হবে কি?
জাবের (রাঃ) বলেন, উট দ্বারা পাল দিয়ে তার মজুরী গ্রহণ করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৫৬৫; মিশকাত হা/২৮৫৭)।
তবে প্রয়োজনে শর্তহীনভাবে সম্মানী বা হাদিয়া স্বরূপ কিছু গ্রহণ করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/৭৪-৭৫)।
যেমন হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, বনু কিলাবের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-কে ষাড়ের পাল বা প্রজননের মজুরীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে তা করতে নিষেধ করলেন। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ষাড়ের পাল দেয়ার বিনিময়ে কিছু হাদিয়া পেয়ে থাকি। তখন তিনি তাকে হাদিয়া গ্রহণের অনুমতি দিলেন’।(তিরমিযী হা/১২৭৪; মিশকাত হা/২৮৬৬, সনদ ছহীহ)। অতএব নিছক ব্যবসা হিসাবে এটি করা যাবে না।
প্রশ্নমতে যে ইমাম এমন কাজ করেন, তাকে নছীহত করতে হবে। যদি হাদীছ জানার পরেও না মানেন, তাহ’লে তাকে অপসারণ করা যাবে। তবে তার পিছনে ছালাত আদায় হয়ে যাবে। কেননা একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।