সালাত / নামায

প্রশ্ন : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব না ওয়াজিব?

উত্তর : ফরয গোসল ব্যতীত সকল গোসলই নফল। গুরুত্ব বিবেচনায় এসব গোসল কখনো মুবাহ,
কখনো মুস্তাহাব, কখনো ওয়াজিব হিসাবে গণ্য হয়। যারা দৈনিক গোসল করেন এবং
যারা সপ্তাহে একদিন গোসল করেন, তারা সমান নন। জুম‘আর দিনের বিবেচনায় এদিনের
গোসলকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ মুস্তাহাব, কেউ সুন্নাতে
মুওয়াক্কাদাহ, কেউ ওয়াজিব বলেছেন। ইবনু দাক্বীকুল ঈদ বলেন, অধিকাংশ বিদ্বান
‘মুস্তাহাব’ বলেছেন। সাইয়েদ সাবেক্ব একে মুস্তাহাব গোসল সমূহের মধ্যে
শামিল করেছেন (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৫৩-৫৫)। ছাহেবে মির‘আত একে ‘ওয়াজিব’ বলেছেন (মির‘আত হা/৫৪০-এর ব্যাখ্যা)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর দিনে প্রত্যেক সাবালকের জন্য গোসল করা ওয়াজিব’ (বুখারী হা/৮৭৯; মিশকাত হা/৫৩৮)

তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি জুম‘আয় যাবে সে যেন গোসল করে (বুখারী হা/৮৮২; মুসলিম হা/৮৪৫)

তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন শুধু ওযূ করল সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি গোসল করল, গোসল করাই উত্তম’ (তিরমিযী হা/৪৯৭; মিশকাত হা/৫৪০)

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, জুম‘আর দিন গোসল করা ওয়াজিব নয়; তবে উত্তম। তাতে গোসলকারীর অধিকতর পবিত্রতা অর্জিত হয়’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৩; মিশকাত হা/৫৪৪)

উপরোক্ত হাদীছগুলি থেকে বুঝা যায় যে, জুম‘আর দিনে গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ
কাজ। যে সকল হাদীছে ওয়াজিব শব্দটি এসেছে তার অর্থ ফরয নয় বরং গুরুত্ব
বুঝানোর জন্য রাসূল (ছাঃ) এরূপ শব্দ ব্যবহার করেছেন (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১৭১)

তবে কোন ব্যক্তি যদি ঘর্মাক্ত হয় এবং শরীরের দুর্গন্ধ অন্য মুছল্লীদের
জন্য কষ্টকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে তার জন্য গোসল করা ওয়াজিব হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, ফাতাওয়া কুবরা ৫/৩০৭)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button