সালাত / নামায

প্রশ্ন : রুকূতে তিনবারের কম বা বেশী তাসবীহ পাঠ করা যাবে কি?

উত্তর : সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম ও সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা কম পক্ষে তিনবার বলবে (আবুদাঊদ হা/৮৭১, ৮৮৫; ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮)

বেশী বলার নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো কখনো দীর্ঘ সময় রুকূ ও সিজদাতে থাকতেন এবং দো‘আ সমূহ পাঠ করতেন (আবুদাঊদ হা/৮৭৪)

উল্লেখ্য, সর্বাধিক দশবার দো‘আ পাঠের হাদীছ যঈফ (যঈফ আবুদাঊদ হা/৮৮৮; মিশকাত হা/৮৮৩)

এছাড়া অন্য দো‘আও পাঠ করা যাবে। বিশেষতঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জীবনের শেষদিকে এসে রুকূ ও সিজদাতে অধিকাংশ সময় নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তেন- সুবহ-নাকা আল্লা-হুম্মা রববানা ওয়া বিহাম্দিকা, আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী ‘হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন! (বুখারী হা/৭৪৯; মুসলিম হা/৪৮৪; মিশকাত হা/৮৭১)

এছাড়া এ সময়ে পঠিতব্য আরো অনেক দো‘আ বর্ণিত হয়েছে (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল ১০৫ পৃঃ)। শাওকানী বলেন, ‘রুকূ ও সিজদাতে তাসবীহ পাঠের নির্ধারিত কোন সংখ্যা নেই; বরং ছালাতকে দীর্ঘ করে পড়ার জন্য অধিক হারে তাসবীহ পাঠ করাই বাঞ্ছনীয়’ মির‘আত হা/৮৮৭-এর ভাষ্য)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button