সালাত / নামায

প্রশ্ন : বিতর ছালাতে দো‘আ কুনূত কখন, কিভাবে পড়তে হয়?

উত্তর : বিতর ছালাতে দো‘আয়ে কুনূত রুকূর পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই পড়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১২৯৪; মির‘আত ৪/২৮৬-৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ পৃঃ)

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কারো বিরুদ্ধে বা কারো পক্ষে দো‘আ করতেন, তখন রুকূর পরে কুনূত পড়তেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৮)

ইমাম বায়হাক্বী বলেন, রুকূর পরে কুনূতের রাবীগণ সংখ্যায় অধিক ও অধিকতর স্মৃতি সম্পন্ন এবং এর উপরেই খুলাফায়ে রাশেদীন আমল করেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২; মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭)

এসময় হাত তোলা সম্পর্কে ছাহাবীগণ থেকে কিছু আছার পাওয়া যায় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৬৬ পৃঃ)

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, বিতরের কুনূত হবে রুকূর পরে এবং এ সময় হাত উঠিয়ে দো‘আ করবে (তুহফাতুল আহওয়াযী, মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪১৭-২১)

ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) বলেন, বিতরের কুনূতের সময় দু’হাতের তালু আসমানের
দিকে বুক বরাবর উঁচু থাকবে। ইমাম ত্বাহাবী ও ইমাম কারখীও এটাকে পছন্দ করেছেন (মির‘আত ২/২১৯; ঐ, ৪/৩০০ পৃঃ)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button