সালাত / নামায

কোন কোন মহিলা ঋতু বন্ধের পরেও গোসল করতে দেরি করে। অতঃপর যখন গোসল করে, তারপর থেকে নামায পড়তে শুরু করে। তাঁদের এমন কাজ কি বৈধ?

প্রশ্নঃ কোন কোন মহিলা ঋতু বন্ধের পরেও গোসল করতে দেরি করে। অতঃপর যখন গোসল করে, তারপর থেকে নামায পড়তে শুরু করে। তাঁদের এমন কাজ কি বৈধ? যেমন এক মহিলার আসরের সময় খুন বন্ধ হল। অতঃপর নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় থেকে রাত্রের গোসল করল না। পরদিন দুপুরে গোসল করে যোহরের নামায পড়ল। গোসল করার পূর্বে যে নামাযগুলো ছেড়ে দিল, সেগুলি কি মাফ?

উত্তরঃ আলহামদু লিল্লাহ।

অবশ্যই মাফ নয়। তাঁর উচিৎ, যথাসময়ে গোসল করে নামায শুরু করা। কোন বৈধ কারণে যদি গোসল করতে দেরিও হয়, খুন বন্ধ হওয়ার পর থেকে যে নামায ছুটে গেছে, সেগুলো ক্বাযা পড়তে হবে। নামায নিজের ইচ্ছামতো পড়ার জিনিস নয়। মিথ্যা ওজর দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে সন্মান বাঁচানোর জিনিস নয়। মহান আল্লাহ্‌র কাছে হিসাব লাগবে। মানুষকে ঠকানো গেলেও, তাকে ঠকানো যাবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তাঁদের পর এল অপদার্থ পরবর্তীগন, তাঁরা নামায নষ্ট করল ও প্রবৃত্তিপরায়ণ হল; সুতরাং তাঁরা অচিরেই অমঙ্গল প্রত্যক্ষ করবে।”(মারয়্যামঃ ৫৯)


“সুতরাং পরিতাপ সেই নামায আদায়কারীদের জন্য; যারা তাঁদের নামাযে অমনোযোগী। যারা লোক প্রদর্শন (করে তা আদায়) করে।” (মাঊনঃ ৪-৬)

সূত্র: দ্বীনি প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button