সালাত / নামায

জামাআত চলাকালে ইমাম রুকূ অবস্থায় থাকলে অনেক নামাযী বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে রুকুতে দেরি করতে বলে। যাতে সে রুকু বা রাকআত পেয়ে যায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন কাজ বৈধ কি?

প্রশ্নঃ জামাআত চলাকালে ইমাম রুকূ অবস্থায় থাকলে অনেক নামাযী বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে রুকুতে দেরি করতে বলে। যাতে সে রুকু বা রাকআত পেয়ে যায়। কেউ দৌড়ে আসে, কেউ সজোরে পদক্ষেপ করে, কেউ গলা-সাড়া দেয়, কেউ ‘ইন্নাল্লাহা মা’আস স্বাবেরীন’ বলে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন কাজ বৈধ কি?

উত্তরঃ আলহামদু লিল্লাহ।

তাদের এমন কাজ বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন, “নামাযের ইকামত হয়ে গেলে তোমরা দৌড়ে এসো না। বরং তোমরা স্বাভাবিকভাবে চলে এসো। আর তোমাদের মাঝে যেন স্থিরতা থাকে। অতঃপর যেটুকু নামায পাও, তা পড়ে নাও এবং যা ছুটে যায়, তা পুরা করে নাও।” (বুখারী ৬৩৫, মুসলিম ৬০২ নং)


আভাষে-ইঙ্গিতে ইমামকে অপেক্ষা করতে বলায় রয়েছে বেআদবি। তাতে সকল নামাযীর ডিস্টার্ব হয় এবং তাদের মনোযোগ ও বিনয় বিনষ্ট হয়ে যায়। (ইবনে জিবরীন)

সূত্র: দ্বীনি প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button