কুরবানী

প্রশ্ন : যে ব্যক্তি কুরবানীর নিয়ত করেছে, সে যদি যিলহজ্জের চাঁদ ওঠার পর চুল-নখ ইত্যাদি কর্তন করে, তবে তার বিধান কি? তাছাড়া এরূপ চুল-নখ কর্তনের পিছনে হেকমত কি?

উত্তর : কুরবানীর নিয়তকারী নখ ও চুল কাটা থেকে বিরত থাকবে। কেউ যদি ভুলে নখ ও চুল কেটে থাকে তাহ’লে সেটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না। আর কুরবানীর নিয়তকারী যদি ইচ্ছা
করে এই সময়ের মধ্যে নখ ও চুল কর্তন করে তাহ’লে তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে
হবে। তবে সেজন্য কোন ফিদইয়া বা কাফফারা দিতে হবে না (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়া ২/৩১৬)

চুল ও নখ কর্তন না করার হেকমত সম্পর্কে আল্লাহ সর্বাধিক অবগত। তবে বিদ্বানগণের মতে, এতে মক্কায় অবস্থানরত হাজীদের সাথে সাদৃশ্য স্থাপিত হয়। সেই সাথে কুরবানী হ’ল ক্ষমার মাধ্যম এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। চুল ও নখ কর্তনের মাধ্যমে শরীরের এসকল অতিরিক্ত অংশকেও আল্লাহর ক্ষমা ও মুক্তির ঘোষণার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
Back to top button