কুরআন ও কুরআনের জ্ঞানসমূহ

প্রশ্ন : হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কুরআনে নিজের মত পেশ করবে সে জাহান্নামে যাবে। যুগ যুগ ধরে মুফাসসিরগণ কুরআনের তাফসীর করতে কুরআন, হাদীছ, ছাহাবী, তাবেঈদের উক্তির পাশাপাশি নিজ চিন্তা, গবেষণা ও মত প্রকাশ করেন। তাহলে হাদীছে নিজ মত প্রকাশ করা বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

উত্তর : প্রথমতঃ এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীছগুলো সবই যঈফ।

দ্বিতীয়তঃ নিজ মত প্রকাশ বলতে নিজের মতকেই প্রাধান্য দেয়া বুঝানো হয়েছে, যা নিষেধ।

নিজের মতানুযায়ী তাফসীর করার মূলনীতি সম্পর্কে ইমাম সুয়ূত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘আল-ইতক্বান’ গ্রন্থে কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। যেমন-

(১). যঈফ-জাল হাদীছ বর্জন করে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীছের দিকে লক্ষ্য করা।

(২). ছাহাবীদের বক্তব্য থেকে নেয়া। বিশেষ করে আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপটের দিকে লক্ষ্য রাখা। বলা হয়- তাফসীরের ক্ষেত্রে ছাহাবীদের বক্তব্য মারফূ‘ সমপর্যায়ের।

(৩). আরবী ভাষার সাথে সম্পর্ক রাখা।

(৪). যতটুকু প্রয়োজন তার অতিরিক্ত না বলা- যা দলীলযোগ্য হয় (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৩; আল-ইতক্বান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭৩)।

সুতরাং নিজের ব্যাখ্যা বলতে নতুন কিছু উদ্ভাবন বা নিজস্ব কোন মতকে প্রাধান্য না দিয়ে তা কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইজতিহাদ প্রকাশ করা।

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button