হজ্জ ও উমরা

প্রশ্ন : কারু পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ বা ওমরাহ করায় কোন বাধা আছে কি? এছাড়া তাওয়াফকালীন সময়ে তালবিয়া পাঠ করা যাবে কি?

উত্তর : কোন বাধা নেই। যাদের পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ ও ওমরাহ করা শরী‘আত সম্মত তারা হ’লেন, মৃত ব্যক্তি, অতি বৃদ্ধ, চির রোগী, এমন মহিলা যার সাথে মাহরাম নেই প্রমুখ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১১-১৩ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)

আবু রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা খুবই বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ, ওমরাহ, এমনকি সফর করতেও সক্ষম নন। তিনি বললেন, ‘তোমার পিতার পক্ষে তুমি হজ্জ ও ওমরা আদায় কর’ (আবুদাউদ হা/১৮১০; তিরমিযী হা/৯৩০; মিশকাত হা/২৫২৯, সনদ ছহীহ)

তবে যাকে পাঠানো হবে তাকে অবশ্যই ইতিপূর্বে নিজের হজ্জ সম্পাদন করতে হবে (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৫২৮, হাদীছ ছহীহ)

সুস্থ ও সবল ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ জায়েয নয়। বরং তাকে নিজেই হজ্জ করতে হবে (আল-মুগনী ৩/২২৩; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১/১৪০)

আর তাওয়াফ ও সাঈ চলাকালীন সময়ে তালবিয়া পাঠ করা উচিৎ নয়। কেননা এসময়ে পাঠ করার জন্য বিভিন্ন দো‘আ রয়েছে (নববী, শরহ মুসলিম ৮/৯১)

ইবনু আববাস (রাঃ) ওমরার সময় হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করার পর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করতেন (তিরমিযী হা/৯১৯; ইরওয়া হা/১০৯৯)

‘স্পর্শ করা’ অর্থ হাজারে আসওয়াদের দিকে ইশারা করে তাওয়াফ শুরুকালীন সময়ে।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button