পবিত্রতা

প্রশ্ন : ওযূর ক্ষেত্রে নাকে ও মুখে পৃথক পৃথকভাবে পানি দেওয়ায় সুবিধা হয়। এটা জায়েয হবে কি?

উত্তর :
সুন্নাত হ’ল একই অঞ্জলী দিয়ে মুখে ও নাকে পানি দিয়ে ওযূ করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এক অঞ্জলী পানি নিয়ে অর্ধেক দিয়ে কুলি করতেন এবং অর্ধেক পানি নাকে দিতেন (বুখারী হা/১৯১, ১৯৯; মুসলিম হা/২৩৫; মিশকাত হা/৩৯৪)। এর বিপরীত যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (আবুদাউদ হা/১৩৯, আহমাদ হা/১৩৫৫, সনদ যঈফ; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/১৮৫; নববী, শরহ মুসলিম ৩/১০৫-১০৬)

তবে যারা সহজে একাজটি করতে পারে না, তারা আলাদাভাবে পানি নিয়ে নাকে ও মুখে দিয়ে ওযূ করতে পারে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২৫৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃ. ৬১)

কারণ এর উদ্দেশ্য হ’ল ভালোভাবে কুলি করা ও নাক ঝাড়া। ছাহেবে মিরক্বাত
বলেন,وَالْأَظْهَرُ أَنَّ مِنْ كَفَّةٍ تَنَازَعَ فِيهِ الْفِعْلَانِ،
وَالْمَعْنَى مَضْمَضَ مِنْ كَفَّةٍ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفَّةٍ এটি স্পষ্ট
যে, এক অঞ্জলী’ শব্দের মধ্যে দু’টি ক্রিয়া রয়েছে। অর্থাৎ এক অঞ্জলী দ্বারা কুলি করবে এবং অপর অঞ্জলী দ্বারা নাক ঝাড়বে (মিরক্বাত হা/৩৯৪-এর ব্যাখ্যা)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button