পবিত্রতা
প্রশ্ন : বীর্য যদি অপবিত্র না হয়, তাহ’লে আমরা ফরয গোসল করি কেন? কেবল ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হ’ত। সঠিক উত্তর জানতে চাই।
উত্তর : শরী‘আতের কোন বিধানের কারণ তালাশ করা অন্যায়। বরং নির্বিবাদে মেনে নেওয়ার মধ্যেই
বান্দার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এক্ষণে ফরয গোসলের তাৎপর্য এটাই হ’তে পারে যে,
বীর্য পুরো দেহ শোষণ করে বের হয় এবং তাতে শরীর ও মন উভয়টিই দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিটি লোমকুপ দিয়ে ঘাম বের হওয়ার কারণে দেহে নিস্তেজভাব সৃষ্টি হয়।
বান্দার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এক্ষণে ফরয গোসলের তাৎপর্য এটাই হ’তে পারে যে,
বীর্য পুরো দেহ শোষণ করে বের হয় এবং তাতে শরীর ও মন উভয়টিই দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিটি লোমকুপ দিয়ে ঘাম বের হওয়ার কারণে দেহে নিস্তেজভাব সৃষ্টি হয়।
আর এগুলোর উত্তম সমাধান হ’ল গোসল। কারণ গোসল দেহ-মন ও আত্মাকে সতেজ করে।
প্রতিটি শিরা-উপশিরাকে শক্তিশালী করে। চিকিৎসকগণ বলেন, মিলনোত্তর গোসল
শরীরে শক্তি ফিরিয়ে দেয়। যা বের হয় তার পুনরাগমন ঘটে এবং এটি দেহ ও মন
দু’টির জন্যই উপকারী। অপরদিকে গোসল পরিহার করা ক্ষতিকর। ফরয গোসল কল্যাণকর
হওয়ার ব্যাপারে জ্ঞান ও ফিৎরাতের সাক্ষ্যই যথেষ্ট’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন ২/৪৫)।
উল্লেখ্য যে, বীর্য অপবিত্র নয়।
রাসূল (ছাঃ)-এর কাপড়ে তা লেগে শুঁকিয়ে গেলে আয়েশা (রাঃ) নখ দিয়ে খুঁটে ফেলতেন। অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/২৮৮; মিশকাত হা/৪৯৫)।
এছাড়া অধিকাংশ ছাহাবী ও সালাফে ছালেহীন বীর্যকে পবিত্র বলেছেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১/৬০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/৩৮০)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।