পারিবারিক ফিকাহ

প্রশ্ন : সন্তান হিসাবে পিতা-মাতার ভরণপোষণ করা কি মেয়েদের জন্য ফরয? যেখানে তাদের কোন ভাই নেই এবং সকল বোন বিবাহিত। তাদের আর্থিক সঙ্গতি ভালো। যদি মা-বাবাকে নিজস্ব গৃহে রাখা হয় এবং তাদের টাকার ও অন্য সেবার ব্যবস্থা করা হয়, তবে কি গুনাহ হবে? কারণ অনেক সময় সাধারণ বিষয়ে পিতা-মাতা অভিমান করে এবং সন্তানকে কষ্ট দেন। এমতাবস্থায় আল্লাহ কি সন্তানের উপর নাখোশ হবেন?

উত্তর : পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান উভয়ের জন্যই পিতা-মাতার খিদমাত করা অপরিহার্য। বিবাহের পূর্বে ও পরে সব সময়ই পিতা-মাতার অধিকার অব্যাহত থাকে। বিবাহের পরেও স্বামীর ঘর থেকে পিতা-মাতার খবরাখবর নেয়া মেয়ের দায়িত্ব। তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৭, ২৭৮২, ৫৯৭০, ৭৫৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫)।

এ ব্যাপারে বাধা প্রদান করা স্বামীর জন্য বৈধ নয়। মেয়ে সাবলম্বী হলে স্বেচ্ছায় পিতা-মাতাকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু স্বামীর অর্থ বা সম্পত্তি থেকে সহযোগিতা করতে হলে স্বামীর নিকট থেকে অনুমতি নেয়া অপরিহার্য। কেননা শ্বশুর-শাশূড়ীর খরচ বহন করা জামাইয়ের উপর যরূরী নয়। তবে জামাই যদি সাবলম্বী হয়, সেক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে উদারতা প্রদর্শন করা দরকার (ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-১২২১৪, ২১৭৩৭)।

অন্যদিকে যদি পিতা-মাতা কোন কারণ ছাড়াই সন্তানের উপর রাগান্বিত হন, তাহলে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না। আল্লাহ নাখোশ হবেন না। কিন্তু সর্বদা পিতা-মাতাকে রাজি করার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া অকারণে সন্তানদের উপর বদ-দু‘আ করা জায়েয নয় (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২৯৬০৫৩)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
Back to top button